বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে গোটা রাজ্য! শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, জল থেকে রাস্তা চতুর্দিকে শুধুই দুর্নীতি। তবে সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এবার গোটা রাজ্যকে দুর্নীতি মুক্ত করে তুলতে ময়দানে নেমে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
‘কারচুপি’ নিয়ে বিএলও-দের ধমক মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, সচিব ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানেই ‘জল চুরি’ নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি মৃতদের! বাদ যাচ্ছে না রাজ্য় চলে যাওয়া শ্রমিকরাও। তাতেই এদিন মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
তাঁর দাবি বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম বাতিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এদিন মমতার অভিযোগ, ‘আমি খবর পেয়েছি, স্থানীয়রা বলার পরেও অনেক জায়গায় বিএলও-রা ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম সংশোধন করেননি। যারা বহুদিন এলাকা থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। তাঁদেরও নাম রেখে দেওয়া হয়েছে।’
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু ভোটার তালিকায় নাম তোলা, কিংবা সংশোধনের কাজের দায়িত্বে থাকেন এই বিএলও-রাই। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘কাদের স্বার্থে এটা করেছেন বিএলও-রা?’
এদিন এই ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে জেলাশাসকদেরও ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বলেন, ‘কিছু বিএলওর বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ডিএমরা এগুলো লক্ষ্য রাখেন না কেন? ভোটার লিস্ট নিয়ে কোনও কমপ্লেন আসলে আমি কিন্তু ডিএমদের ছাড়ব না।’
আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’ তে একবার ফোন করেই মিলল ‘ঘর’! আনন্দে আত্মহারা সকলে
এখানেই শেষ নয় এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন কিছু বিএলও। তারা নিজের দায়িত্ব পালন করছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘ভোটার তালিকার মতো সিরিয়াস কাজের ডিউটিতে অনেক বিএলও শেষ দিনেও নিজের ডিউটি পালন করেননি। কারা কারা ছিলেন না, কেন ছিলেন না আমি তার রিপোর্ট চাই। দ্রুত তদন্ত করে তথ্য জমা দিন।’
এরপরেই এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, ভোটার তালিকার সঙ্গে ভোটে কারচুপিরও সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগের দিন ২৫ শতাংশ, পরের দিন দেখাল ৪০ শতাংশ। এভাবেই কারচুপি হয়। ভোটার লিস্টটাই মূল। ডিএমরা এভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।