বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর ৪ মাস অতিক্রান্ত। গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা ডাক্তারের মৃতদেহ। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) নয়া মোড়?
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ আগস্ট আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার কাছে হাসপাতালের তরফ থেকে একটি ফোন গিয়েছিল। সেখানে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়, ততক্ষণে ধর্ষণ খুনের ‘প্ল্যান’ করা হয়ে গিয়েছে।
সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh), টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল থেকে শুরু করে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবী, কিছু পুলিশ আধিকারিক এবং নিচুতলার কয়েকজন পুলিশকর্মীর ভূমিকা বেশ সন্দেহজনক। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বড় গাড়ি ঢুকলেই কাটা যাবে মাইনে! এবার কড়া ঘোষণা মমতার
প্রথমে নাকি ধর্ষণ খুন চাপা দিতে সব ধরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নির্যাতিতার বন্ধুরা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করে বলে খবর। এরপরেই ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠিত হয়। রিপোর্ট বলছে, সেখানে আরজি করের (RG Kar Case) ডাক্তারের পাশাপাশি অন্য হাসপাতালের তুলনামূলক অনভিজ্ঞ একজন ডাক্তারকে রাখা হয়। সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়ছে, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইচ্ছা মতো বানানো হলে কেউ যাতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করেন, সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল!
তবে তদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, আরজি করের (RG Kar Hospital) নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের মধ্যে একজন বেঁকে বসেছিলেন। তিনি সাফ জানান, এটা আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। সেই কারণে রিপোর্টেও তা লিখবেন না। এরপর তিনি নিজের ফোনে নির্যাতিতার শরীরের আঘাতের বেশ কিছু ছবি তুলে রাখেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা সেগুলি দেখেছেন এবং সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই চিকিৎসক নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন বলেই আরজি করের (RG Kar Case) ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালানো যায়নি। ভবিষ্যতে ওই একজন ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারের সাক্ষ্য এবং বয়ান গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।