বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভবিষ্যতের জন্য সবাই চায় অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে। একটা সময় পর আর কাজ করার ক্ষমতা থাকে না আমাদের। তখন প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একমাত্র সম্বল হয়ে ওঠে জমানো কিছু টাকা। তবে ভবিষ্যতের জন্য কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) স্কিম
সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা NPS হতে পারে আপনার বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ একটি মাধ্যম। একটি মার্কেট-লিঙ্কড স্কিম হওয়ায় ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে রিটার্ন পাওয়া যায় বাজার অনুযায়ী। টিয়ার ১ এবং টিয়ার ২ – এই দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (National Pension Scheme)।
৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করবেন, তার উপর মোট তহবিলের ৬০ শতাংশ একক অংক হিসাবে তুলতে পারবেন বিনিয়োগকারী। অন্যদিকে, তহবিলের ৪০ শতাংশ টাকা বার্ষিক বৃত্তি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বার্ষিক বৃত্তি হবে আপনার পেনশন।
আরোও পড়ুন : বাংলাদেশ বয়কটই হয়ে দাঁড়ালো কাল! ধর্মান্ধতার জেরে সঙ্কটে মুসলিম ব্যবসায়ীরা
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) NPS ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, আপনি যদি ৩৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে আপনাকে ২৫ বছর ধরে বিনিয়োগ (Investment) চালিয়ে যেতে হবে। ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিমাসে জমাতে হবে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা।
২৫ বছর ধরে যদি মাসে ১৫০০০ টাকা জমানো যায় তাহলে আপনার মোট জমাকৃত অর্থ দাঁড়াবে ৪৫,০০,০০০ টাকা। ১০ শতাংশ হারে সুদ পেলে সুদের পরিমাণ হবে ১,৫৫,৬৮,৩৫৬ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী, আপনার মোট তহবিলের পরিমাণ দাঁড়াবে ২,০০,৬৮,৩৫৬ টাকা। ৪০ শতাংশ বার্ষিক বৃত্তি হিসাবে যদি বার্ষিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন আসে, তাহলে আপনার মাসিক পেনশন হবে ৫৩,৫১৬ টাকা।