শুরু কড়াকড়ি! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে খারাপ খবর!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আট থেকে আশি, রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে সকলের জন্য ভাতা এনেছে মমতা সরকার। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল সুপ্রিমোর চালু করা রাজ্যের সুপারহিট প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার মহিলারা মাসে মাসের অর্থ সাহায্য পান।

বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান। প্রতি মাসের শুরুতেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় ভাতার টাকা। রাজ্য সরকারের চালু করা জনদরদী প্রকল্পগুলির তালিকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এবার এই প্রকল্প নিয়েই বড় আপডেট সামনে আসছে।

রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বসয়ী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হাতে পেতে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। মানতে হবে সরকারি নির্দেশ। নয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড যদি লিঙ্ক না করা থাকে তাহলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

যদি কোনো উপভোক্তা এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভাতা। সরকারি চাকরি বা অন্য কোনও সুবিধা থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিলে তাহলে বন্ধ হতে পারে ভাতা। অ্যাকাউন্টে KYC দেওয়া না থাকলেও বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভাতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শুরুর সময় এই প্রকল্পের আওতায় মাসিক পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন রাজ্যের মহিলারা। তারপর ধীরে ধীরে বেড়েছে ভাতার পরিমাণ। গত সপ্তাহেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরও পাঁচ লক্ষ মহিলার নাম। ডিসেম্বরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নতুন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা ঢুকে যাবে।

সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য অনেক নতুন আবেদন এসেছে। তাদের সকলকে এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন উপভোক্তার সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ৭ হাজার। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলার ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পেয়েছেন। যা দিতে রাজ্য সরকারের ১৩,৫২৩.৮৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

Lakshmir Bhandar Club

আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামবে দক্ষিণবঙ্গে! আজ বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? আবহাওয়ার খবর

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের চালু করা জনদরদী প্রকল্পগুলির তালিকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। চলতি বছরই এই প্রকল্পে টাকা বড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট রয়েছে এ রাজ্যে। তার আগে এই প্রকল্পে ফের টাকা বাড়তে পারে বলে চর্চা চলছে। মনে করা হচ্ছে সেই সময় ২০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। যদিও এখনও এই নিয়ে সরকার তরফে কোনো ঘোষণা হয়নি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর