বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংবাদের শিরোনামে প্রায়ই উঠে আসে বাসের রেষারেষির খবর। বহু সময় এর জেরে দুর্ঘটনা ঘটে, প্রায় হারায় নিরীহ মানুষ। এবার এটা রুখতেই উদ্যোগী সরকার। বাসের রেষারেষি বন্ধ করতে এবার নয়া ‘দাওয়াই’ আনল পরিবহণ দফতর (West Bengal Transport Department)। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে শহরের ১২টি বাস রুটকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে খবর।
বাসের রেষারেষি রুখতে মোক্ষম ‘অস্ত্র’ সরকারের (West Bengal Transport Department)!
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেসরকারি বাস সংগঠনের কর্তাগুলির সঙ্গে পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব সৌমিত্র মোহন একটি বৈঠক করেন। পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে সেই বৈঠক হয় বলে খবর। সেখানেই বাসের (Bus) রেষারেষি রুখতে এই নয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে সকলে সহমত হয়েছে। এবার থেকে বেসরকারি রুটের বাস আনা হবে ট্র্যাকিংয়ের আওতায়।
বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে,বাস মালিকরা প্রত্যেক বাসের চালককে একটি করে মোবাইল ফোন দেবেন। সেটির ইন্টারনেট কানেকশন সহ আনুষাঙ্গিক খরচ দেবে পরিবহণ দফতর (West Bengal Transport Department)। প্রত্যেকটি বাসের মধ্যে এবার থেকে একটি কিউ আর কোড দেওয়া থাকবে। বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস নিয়ে বেরনোর সময় চালকরা নিজেদের মোবাইল দিয়ে সেই কোড স্ক্যান করবেন।
আরও পড়ুনঃ ‘আমরা চুষব না…’! ‘ললিপপে’র পাল্টা ‘আমলকি’! মমতাকে আক্রমণ বাংলাদেশের রিজভির
এটা করার পরেই সংশ্লিষ্ট বাস কোথা থেকে বেরোচ্ছে, সেটির রুট কী, আদৌ ঠিক রুট দিয়ে যাচ্ছে কিনা, গাড়ির গতিবেগ সহ যাবতীয় তথ্য বাস মালিক ও লালবাজার (Lalbazar) ট্রাফিক বিভাগের কাছে পৌঁছে যাবে। এর পাশাপাশি ওই বাস রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনও বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছে কিনা অথবা ওভারটেক করছে কিনা সেটাও এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জানা যাবে।
পুলিশ আধিকারিকরা যদি এমন কোনও খবর জানতে পারেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি ট্রাফিক আউট পোস্টে খবর পাঠানো হবে ও সংশ্লিষ্ট বাসটিকে আটক করা হবে। জানা যাচ্ছে, ‘যাত্রীসাথী’ অ্যাপের সঙ্গে এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থা যুক্ত থাকবে। ফলে যাত্রীরাও বাসের অবস্থান সম্বন্ধে জানতে পারবেন।
রিপোর্ট বলছে, গতকালের বৈঠকে এই বিষয়ে প্রত্যেকেই সহমত হয়েছেন। তবে বাস মালিকদের ভাবাচ্ছে খরচের বিষয়টি। বেসরকারি বাস সংগঠনের কর্তাদের কথায়, মাসখানেক আগে ভিএলটিডি মেশিন বসাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন আবার মোবাইল দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিবহণ দফতর যদি কিছু ভার বহন না করে তাহলে বাস মালিকদের কাছে ব্যাপারটা চাপের হয়ে যাবে।
জানা যাচ্ছে, পরিবহণ দফতরের (West Bengal Transport Department) সচিবের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন বাস মালিক সংগঠনের কর্তারা। সৌমিত্র মোহন বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। এদিকে বাসের রেষারেষি রুখতে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হলে প্রচুর সুবিধা হবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।