বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দূষণ এড়াতে বাসের মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। কিছু বছর আগে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) ছিল, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেছে এমনি কোনও বাস আর কলকাতা (Kolkata) শহর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ আর চালানো যায়না। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারও পনেরো বছরের পুরনো বাস, লরি, ট্যাক্সি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আগেই।
এবার রাজ্যের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বাস মালিকদের সংগঠন। দায়ের হয়েছে মামলা। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তির পুনর্বিবেচনা চেয়েছিল বাস মালিকদের সংগঠন। সম্প্রতি এই নিয়ে রাজ্যকে দ্রুত পদক্ষেপ নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকও করেন পরিবহণ সচিব। তবে বৈঠকের নির্যাস, এ বিষয়ে ব্যাপারে রাজ্যের কিছু করার নেই। দূষণ ঠেকাতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে তাই তাদেরও তা মানতে হবে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাস মালিকরা। তাদের দাবি, করোনাকালে সময় প্রায় দু’বছর বাস চলাচল করেনি। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এবার যদি পনেরো বছরের গেরোয় বাস বসে যায় তাহলে তাদের কাছে আর কোনো রাস্তা থাকবে না।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ দেব’! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন কবে? দিনক্ষণ ঘোষণা মমতার
বাস মালিকদের সংগঠনের একাংশের দাবি, ছয় বছর হয়ে গেল তাদের বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয়নি, হয় তা বৃদ্ধি করতে দেওয়া হোক নয়তো বাতিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত তিন-চার মাসে পনেরো বছরের গেরোয় পাঁচশোর বেশি বাস বসে গিয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শহরে ১২০০ বাস ও মিনি বাস বসে যেতে চলেছে। ফলে দু’দিকের সাঁড়াশি আক্রমণে শেষমেশ বাস সঙ্কট কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেই নিয়েও বাড়ছে চিন্তা। এবার রাজ্যও কোনো পদক্ষেপ না করায় হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলোর একাংশ।