“দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ নয়”, ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে আগরতলা পর্যন্ত লংমার্চ শুরু রিজভির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের ভারতবিরোধী মন্তব্য করে চর্চায় উঠে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভি। বুধবার আগরতলা অভিযানের আগে নয়াদিল্লির প্রসঙ্গ তুলে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না, এমনি মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। এদিন আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের ভারত বিরোধী মিছিলের পুরোভাগে রয়েছেন এই রিজভিই।

মিছিল শুরুর আগেই ভারতের বিরোধিতার বাংলাদেশের (Bangladesh) নেতা রিজভির

ক্রমাগত ভারত বিরোধী উসকানির মাঝে ত্রিপুরার আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের ডাক দেওয়া হয়েছিল বিএনপির তরফে। এদিন সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল। এই মিছিল যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত। বিকেল পর্যন্ত এই মিছিলে নাকি হাজার হাজার নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশি (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। আর মিছিল শুরুর আগেই ফের ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগান তুললেন রিজভি।

Bangladesh bnp leader rizvi commented against India

কী মন্তব্য করেন রিজভি: হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, ‘রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা (Bangladesh) কিনেছি তা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব? এই বার্তা আমাদের মাঝে নেই’। এটা অবশ্য প্রথম না। ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে আগেও দেখা গিয়েছে রিজভিকে।

আরো পড়ুন : ‘ফেস কাটিংয়ে বিশ্বে এক নম্বর’, ইসলামের প্রচারে রশ্মিকা মন্দানার প্রশংসা! ট্রোলের মুখে বাংলাদেশি ধর্মগুরু

আগেও করেছেন ভারত বিরোধিতা: ভারতীয় শাড়ি, চাদর পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভারতীয় জিনিস বয়কটের ডাকও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতে, ভারতের মরিচের তুলনায় বাংলাদেশি (Bangladesh) মরিচের ঝাঁঝ নাকি অনেক বেশি। আগরতলা অভিযানের আগেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শরীর গরম করা বক্তৃতা দেন তিনি। ইতিহাস জোরজবরদস্তি মুছে কার্যত নতুন করে ইতিহাস রচনা করার চেষ্টায় বাংলাদেশিদের (Bangladesh) একাংশ।

আরো পড়ুন : পেটের ভাত জোগাতে করেছেন কুলি মজুরের কাজ, আজ ৪০০ কোটির সম্পত্তি! একসময় জীবন শেষ করতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসকন সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি এবং সংখ্যালঘুদের উপরে নৃশংস অত্যাচারের প্রতিবাদে মিছিল বেরিয়েছিল আগরতলায়। তখনই একদল উন্মত্ত জনতা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়ে আগরতলায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিস চত্বরে। এ ঘটনায় নয়াদিল্লির তরফে ক্ষমা প্রার্থনা করে বিবৃতি দেওয়া হলেও রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন অভিযানের ডাক দেয় খালেদা জিয়ার দল। আর এবারে আগরতলা পর্যন্ত লংমার্চ শুরু হয়েছে ঢাকা থেকে। এর জেরে সীমান্তেও কড়া হয়েছে নজরদারি। আগরতলা চেকপোস্টে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর