বাংলাহান্ট ডেস্ক : বদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) পুরনো সবকিছুই ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসে নতুন বাংলাদেশ (Bangladesh) গঠনের নামে কার্যত ইতিহাস বদলে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে। বাতিল হতে বসেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। আফগানিস্তানের পথে হেঁটে মহিলাদের উপরেও চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফতোয়া। আর এবার ৩১ শে ডিসেম্বরের উদযাপনেও বিধিনিষেধ আরোপ করল ইউনূস সরকার।
বর্ষবরণের উদযাপন নিয়ে একগুচ্ছ ফতোয়া বাংলাদেশে (Bangladesh)
বছর শেষে আর বিভিন্ন বারে গিয়ে ভিড় জমানো যাবে না। মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পাশাপাশি বর্ষবরণের রাতে আতশবাজি, ফানুস ওড়ানোতেও আপত্তি প্রকাশ করেছে সরকার। রবিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৩১ শে ডিসেম্বর রাতে দেশ জুড়ে সমস্ত সাধারণ বার বন্ধ থাকবে। বাজি পোড়ানো বা ফানুস ওড়ানোও যাবে না এদিন।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত: কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবছর বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ভালো ভাবেই উদযাপন হবে বলে এক রকম আশ্বাস বাণী শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরো পড়ুন : “দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ নয়”, ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে আগরতলা পর্যন্ত লংমার্চ শুরু রিজভির
মহিলাদের উপরেও চাপানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা: উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গোপালগঞ্জে (Bangladesh) মহিলাদের বাজারে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৌলবাদীরা। মাইক নিয়ে প্রচারে বেরোতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। কোনো মহিলা এরপর থেকে বাজারে আসতে পারবেন না, কেনাবেচা করতে পারবেন না। কেউ এলেও তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের।
আরো পড়ুন : ‘ফেস কাটিংয়ে বিশ্বে এক নম্বর’, ইসলামের প্রচারে রশ্মিকা মন্দানার প্রশংসা! ট্রোলের মুখে বাংলাদেশি ধর্মগুরু
এই নিয়ম খুব শীঘ্রই গোটা বাংলাদেশে (Bangladesh) চালু করা হবে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের। তারপরেই বর্ষবরণের উদযাপনে লাগাম টানায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশও খুব শীঘ্রই মৌলবাদের কব্জায় চলে যেতে চলেছে? ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।