বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতির মামলায় আবারও আটকে গেল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) জামিন। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার তদন্ত ভার রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির ওপর। এই মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁরা সবাই জামিন পেয়েছেন। একমাত্র জেলে আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার এই মামলায় বিচারভবনে জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল।
আবার ধাক্কা খেল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) জামিন
এদিনও যথারীতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) জামিন আটকাতে ইডির অস্ত্র ছিল ‘প্রভাবশালী’ তকমা। যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবীরা আগেই তাঁর ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ইডির দাবি তাঁর কাছে এখন মন্ত্রিত্ব না থাকলেও প্রভাব কমেনি একফোঁটা। কারণ এই রেশন দুর্নীতির ‘মূলচক্রী’ নাকি জ্যোতিপ্রিয় নিজেই।
তাই রাজনৈতিক ভাবে এখনও তিনি প্রভাব খাটাতে সক্ষম। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) এদিন ‘কিং মেকার’ আখ্যা দিয়ে ইডির আইনজীবীর দাবি ‘রাজা না হলেও রাজা তৈরি করার ক্ষমতা’ রয়েছে তাঁর। তাই জামিন পেলে গোটা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ইডির এই বিস্ফোরক দাবির সামনে এদিন আরও একবার জামিন আটকে গেল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
আরও পড়ুন: শুরুতেই শেষ বাংলার আবাস প্রকল্পে যাচাইয়ের কাজ! অকেজো পোর্টাল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
আগেই মন্ত্রিত্ব হারিয়ে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয়। তাই তাঁর প্রভাবশালী তকমার প্রসঙ্গে বিচারক জানতে চান, ‘এখন তো উনি মন্ত্রীর পদে নেই। তা হলে এত প্রভাব খাটাবেন কী করে?’ তার উত্তরেই ইডি বলে, ‘কেউ কিং হন, কেউ কিংমেকার। এমনও মামলা রয়েছে, যেখানে দীর্ঘ দিন ধরে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আসলে কিংমেকাররা এতটাই ক্ষমতাশালী হয়। জামিন পেলে জ্যোতিপ্রিয় পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।’
এ প্রসঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসাধীন থাকাকালীন একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেসময় হাসপাতালে বসেই নাকি তিনি মেয়েকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠি ইডির হাতে আসতেই তাঁরা বুঝে যান সুযোগ পেলে জ্যোতিপ্রিয় কী করতে পারেন।
প্রসঙ্গত নভেম্বর মাস থেকে জ্যোতিপ্রিয়র এই জামিনের মামলা চলছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই স্পষ্ট হবে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী আদৌ জেলমুক্ত হবেন কি না।