SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগে সময়ের অভাবে বারেবারে পিছিয়ে গেছে শুনানি। ২০২৪ শেষ হতে চললেও এখনও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝুলে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হজার চাকরি বাতিল মামলা (SSC Recruitment Scam)। আগে বেশ কয়েকবার সময়ের অভাবে এই মামলার শুনানি করা যায়নি। যার জেরে বাড়ছে অপেক্ষা। সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। অবশেষে মামলাটি উঠবে সেই আশাতেই রয়েছে সকলে।

শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আগেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করে রয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যৎ।

প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার (Supreme Court) শুনানি বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে শুনানির কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সেই মতো শেষ বার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে উঠলেও শুনানি হয়নি।

পূর্বে, সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) পিছিয়েছে শুনানি। শেষবারও ফের সেই শুনানি পিছিয়ে যায়। আদালত তরফে জানানো হয়, একই দিনে আরও একাধিক মামলার শুনানি ছিল। মূলত সময়ের অভাবে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।

Supreme Court

হাইকোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। সকলকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের (ssc recruitment scam) চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও। এর জেরে আপাতত ২৬০০০ চাকরির ভাগ্য ঝুলে রয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর