বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময়ের সাথে সাথেই কি গুরুত্ব হারাচ্ছে আরজিকর মামলা (RG Kar Case)? এমনিতে শুরু থেকেই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া যেভাবে ঢিমেতালে এগোচ্ছে, তা দেখে এই প্রশ্নই উঠছে সমাজের নানা মহলে। ইতিমধ্যেই বিগত ৪ মাসে ২ বার বদল করা হয়েছে নির্যাতিতার আইনজীবী। সম্প্রতি এই মামলা থেকে সরে এসেছেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার।
আরজিকর কান্ডে (RG Kar Case) সাক্ষ্য দিতে শিয়ালদহ কোর্টে নির্যাতিতার বাবা-মা
বিগত তিন মাস ধরে প্রায় বিনা পারিশ্রমিকে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে বিভিন্ন কোর্টে সাওয়াল জবাব করেছেন তিনি। কিন্তু সুমপ্রিম কোর্টে আরজিকর কান্ডের (RG Kar Case) শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি বৃন্দা গ্রোভারকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। আর তার পরের দিনই এই মামলা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন বৃন্দা।
দায়িত্ব ছাড়ার পর এপ্রসঙ্গে বৃন্দা জানিয়েছিলেন,‘কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্যই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিগত তিন মাসে সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনেই আইনি সাহায্য করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের সাথেও সহযোগিতা করা হয়েছে।’ একইসাথে দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে নিম্ন আদালতকেও অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন বৃন্দা।
প্রসঙ্গত শুরুতে নির্যাতিতার হয়ে মামলা (RG Kar Case) লড়ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাঁর জায়গাতেই বৃন্দাকে নিয়োগ করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। তবে তিলোত্তমার বাবা-মায়ের জন্য নতুন আইনজীবী খুঁজে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে রাজদীপ হালদার এবং অমর্ত্য দে নিম্ন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে এই মামলা লড়বেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই বাড়বে DA! কত টাকা বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের? হিসেব দেখে নিন
অন্যদিকে শিয়ালদহ কোর্টে প্রায় প্রতিদিনই রুদ্ধদ্বার শুনানি চলছে। সূত্রের খবর, এই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত আরজি কান্ডে প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া। প্রথম দিন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা। আর বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার মাকে সঙ্গে নিয়েই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজের ৪ তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়া এক তরুণীর রক্তাক্ত-ক্ষত বিক্ষত দেহ। তারপরেই এই নির্মম-ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা দেশ-রাজ্য-রাজনীতি। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় একদিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও অভিযুক্ত হিসাবে শুধুমাত্র ওই সিভিকেরই নাম রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিটও গঠন করা হয়েছে।