‘প্রভাবশালীদের আড়াল করতেই …’ মারাত্মক অভিযোগ, মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনাকালে বহু মানুষের অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে জাল টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) বিরুদ্ধে। সেসময় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার সেজে শিবির চালিয়েছিল একাধিক জায়গায়।  ২০২০ সালে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ।

সেসময় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল। কলকাতার বিভিন্ন থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ১০ টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই প্রায় তিন বছর জেলও খেটেছে অভিযুক্ত। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এই অভিযুক্তই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পাল্টা এক বিরাট অভিযোগ এনেছে খোদ কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই।

এমনকি ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চেয়েও কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন। সূত্রের খবর আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে তিনি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশ নাকি তদন্তের নামে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেছে।

আরও পড়ুন: ৪ মাসে ২ বার আইনজীবী পরিবর্তন! এবার দায়িত্ব পেলেন এই দু’জন

সেইসাথে দেবাঞ্জনের আরও দাবি সঠিক পদ্ধতিতে তদন্ত হলে নাকি এই মামলায় আরও অনেক প্রভাবশালীদের নাম বেরিয়ে আসত। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাদের বাঁচাতেই যাবতীয় নথি নষ্ট করে দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা শোনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে। যদিও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Debanjan

প্রসঙ্গত গত বছরেই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। যদিও সেসময় তাঁর দায়ের করা মামলায় সাড়া দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। সেসময় দেবাঞ্জন দাবি করেছিলেন তাঁকে নাকি হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাই সেসময় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। যদিও সেসময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যের হাতেই বিষয়টি ছেড়েছিলেন। তবে এবার এই  মামলা আবার শোনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর