বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্যাজুয়াল ওয়ার্কারদের বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা উঠেছিল। তার শুনানিতেই বড় নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
ক্যাজুয়াল ওয়ার্কারদের নিয়ে কী নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, ১৯৮৮ সালের ১ নভেম্বর বৈদ্যবাটি পুরসভায় (Baidyabati Municipality) মামলাকারী ব্যক্তিকে ক্যাজুয়াল ড্রাইভার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’র ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে পুরসভার বাকি কর্মীদের মতো নির্দিষ্ট বেতন, বেতন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়। ২০১০ সালের মার্চ মাস অবধি তিনি ওই সুবিধাগুলি পেয়েছিলেন। তবে অডিট অথরিটির তরফ থেকে বিরোধিতা করা হতেই বেতন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর ওই ব্যক্তি পুরসভার দ্বারস্থ হন। তবে কোনও সুরাহা না হওয়ায় সোজা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিট পিটিশন ফাইল করেন। লোকাল বডির ডিরেক্টরের তরফ থেকে তখন জানানো হয়, ওই ব্যক্তিকে ক্যাজুয়াল ওয়ার্কার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর নিয়োগ সরকারের দ্বারা স্যাংশন ছিল না। এরপর আরও একটি রিট পিটিশন ফাইল করেন ওই ব্যক্তি। তবে তা সিঙ্গেল জাজ বেঞ্চের তরফ থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর সিঙ্গেল জাজের অর্ডারের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পার্থ জামিন পাওয়ায় কষ্টে ফিরহাদ! মুখ ফসকে বলেই ফেললেন, আমি…
ওই ব্যক্তির দাবি ছিল, ১৯৮৭/১৯৮৮ সালে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং তিনি যেহেতু পুরসভার বাকি কর্মীদের মতো একটি নির্দিষ্ট পে স্কেলের অধীন বেতন, বেতন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য ভাতার সুবিধা পাচ্ছিলেন, তাই তাঁর সার্ভিস রেগুলারাইজ করে দেওয়া হোক। তিনি আরও দাবি করেন, ১৯৯২ সালের আগে নিযুক্ত বহু কর্মীর সার্ভিস রেগুলারাইজ করে দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা রেসপন্ডেন্টের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ওই কর্মীকে প্রথমে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’র ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা ক্যাজুয়াল নিয়োগ (Casual Recruitment) করা হয়। ওই কর্মীকে নিয়োগের নিয়ম মেনে কোনও নির্দিষ্ট পদে (স্যাংশনড পোস্ট) নিয়োগ করা হয়নি। ফলে তাঁর সার্ভিস রেগুলারাইজ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে, সিঙ্গেল জাজের অর্ডার বহাল রাখা হয়। জাস্টিস দেবাংশু বসাক এবং জাস্টিস মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ক্যাজুয়াল ওয়ার্কার, যাদের নির্দিষ্ট পদে (ভ্যালিড স্যাংশনড পোস্ট) নিয়োগ করা হয়নি, তাঁদের রেগুলার পোস্টে নিয়োগ করা যাবে না। এরপর আদালতের তরফ থেকে আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়।