বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শম্পা সরকার। আদালত অবমাননার নোটিশ আনার পাশাপাশি কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তার ব্যাখ্যা চেয়ে অভিযুক্ত জেলাশাসককে নির্দিষ্ট দিনে সশরীরে হাজিরা দিতে বলেছেন তিনি।
জেলাশাসকের আচরণে ‘ক্ষুব্ধ’ উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) বিচারপতি!
রিপোর্ট বলছে, একটি অবৈধ নির্মাণের (Illegal Construction) অভিযোগ ঘিরে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে প্রভাতকুমার কলেজের ভবন তৈরির সময় আইন ভাঙা হয়েছে। এই নিয়ে আইনজীবী আবু সোহেল ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দায়ের করা হয় একটি মামলা। তবে উচ্চ আদালতের তরফ থেকে সেই মামলা কাঁথি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিম্ন আদালতের তরফ থেকে এই মামলায় পুলিশ প্রশাসনকে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী কাঁথি থানা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর অভিযোগ গ্রহণ করে এবং এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই কলেজ পরিচালন কমিটির সাবেক সভাপতি সৌমেন্দু অধিকারী। গত বছর আবেদনকারীর দাবি মেনে নিতে এফআইআর খারিজ করে দেয় আদালত। সেই সঙ্গেই প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ নববর্ষ ধামাকা! অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ১০,০০০! দুর্দান্ত প্রকল্প আনল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
হাইকোর্টের তরফ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে (District Magistrate) সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে অভিযোগ জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি আদালতের ওই নির্দেশ মানেননি। এরপর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন আবু সোহেল।
গত জুলাই মাসে এর প্রেক্ষিতে জাস্টিস সরকার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে আবারও তদন্ত এবং ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও পূর্ণেন্দু মাঝি সেই নির্দেশ কার্যকর করেননি বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করেন আবু সোহেল।
এবার তাঁর প্রেক্ষিতেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সরকারের নির্দেশ, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই সশরীরে আদালতে উপস্থিত হতে হবে পূর্ণেন্দু মাঝিকে। কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেননি, তাঁকে সেটা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।