বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসের শুরুতেই ৬ ডিসেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির (ED) মামলায় জামিন পেয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। যদিও তারপরেও জেল মুক্তি হয়নি কাকুর। কারণ ইডির মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর (CBI) মামলা। সেই সময়েই সিবিআই-এর তরফে তার বিরুদ্ধে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারির আবেদন করা হয়েছিল।
CBI-এর সাঁড়াশি চাপে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)
এরপর আশঙ্কাকে সত্যি করেই মঙ্গলবার জেল থেকেই কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে কালীঘাটের কাকুকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইতিপূর্বে পাঁচবার আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি।
অবশেষে সোমবার ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন কাকু (Kalighater Kaku)। তারপরেই তাকে গ্রেফতারের নথি পেশ করে হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। যদিও ইডির মামলায় জামিনের সূত্র ধরেই হেফাজতে নেওয়ার বিরোধিতা করেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। তবে তার সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আগে থেকেই অ্যারেস্টেড। তাই তাকে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অনুমতির দরকার নেই।’
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুকে বুধবার জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে নিজাম প্যালেস এনে জেরা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই তাকে জেরা করছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজাম প্যালেস এসে পৌঁছেছে সিবিআই-এর চার সদস্যের দল। তৈরি রয়েছে আইনি কাগজপত্রও।
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা! বড়দিনের আগেই সবার অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেল টাকা, খুশির হাওয়া রাজ্যে
নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর সকাল দশটার পর থেকেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাকু সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন। তাই এই সময়ের মধ্যেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া সিবিআই আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বাংলা। রাজ্যের কোন কোন হেভিওয়েট-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছেছিল? এই দুর্নীতির মামলায় বাংলার মোট কতজন এজেন্ট যুক্ত ছিল? কারা তাদের নিয়োগ করেছিল? কোথা থেকে তারা টাকা তুলত? কালীঘাটের কাকু ওই কোটি কোটি টাকা কোন প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে পাঠাত? এমনই একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর জানতে আজ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই।