বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে কোনও ছাত্রছাত্রীর জীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অসীম। একজন পড়ুয়ার ব্যক্তিত্ব গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার স্কুল। এবার স্কুলে ভর্তি নিয়েই কড়াকড়ির পথে হাঁটল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি নির্দেশনামা এসে পৌঁছে গিয়েছে।
সরকারের (Government of West Bengal) নয়া নির্দেশিকায় চাপে বহু স্কুল!
জানা যাচ্ছে, এবার থেকে রাজ্যের কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Primary Schools) ৩০০ জনের বেশি পড়ুয়া রাখা যাবে না। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ৫০০ জন এবং প্রাক প্রাথমিকে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫০ জনকে ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া যাবে। এখানেই শেষ নয়! শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও এই নিয়মে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলবে ২৮ ডিসেম্বর অবধি। তার আগেই রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এই সরকারি নির্দেশনামা এসে পৌঁছেছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের (School Education Department) তরফ থেকে দেওয়া এই নির্দেশ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হয়ে ধাপে ধাপে স্কুলগুলিতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার বিদ্যালয়গুলিকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ শুনানি শেষ! জামিন পাচ্ছেন পার্থ? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মাথা ঘুরে যাওয়া মোড়
এদিকে সরকারের (Government of West Bengal) এই সিদ্ধান্তের ফলে চাপে পড়েছে বহু স্কুল। জানা যাচ্ছে, ৫-৬ গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের একমাত্র ভরসা হল শঙ্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে পড়ুয়া সংখ্যা ১১১১ জন। প্রাক প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৫০। এদিকে সরকারের তরফ থেকে প্রাক প্রাথমিকের পড়ুয়া সংখ্যা ৫০ জন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেটা কীভাবে কমাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক।
রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের এস আই স্বপ্নেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার ৪১টি চক্রেই বহু বিদ্যালয়ে ৩০০-র অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৬০০-৮০০ ছাত্রছাত্রী সংখ্যার বিদ্যালয়ও নেহাত কম নয়। দু’টো শিফট করা যায়। কিন্তু সেটার জন্য শিক্ষক প্রয়োজন। সব দিক থেকে খানিকটা সমস্যা তো হবেই’।
সরকারের (Government of West Bengal) এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা একই সুর শোনা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অপর্ণা মণ্ডলের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘এটাই সরকারি নির্দেশ। এটা কড়াভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হওয়ার থাকলে অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে একটি অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তির তালিকা পাঠালে সেটা অনুমোদন করে দেওয়া হবে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের দু’টি শিফট করা যাবে’।