বাংলাহান্ট ডেস্ক : সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede), এই একটি নাম একসময় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল শাহরুখ খানের। বছর তিন আগে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে মাদক সেবনের অভিযোগে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে ধরা পড়েছিলেন শাহরুখের বড় পুত্র আরিয়ান খান। আর এই রেইড যাঁর নেতৃত্বে হয়েছিল তিনিই হলেন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। তবে এখন অবশ্য তিনি প্রাক্তন। আরিয়ানের জেলমুক্তি এবং বেকসুর খালাস পাওয়ার পর সমীরকেও বদলি করা হয়েছিল।
এতদিন পর শাহরুখকে নিয়ে বিষ্ফোরক ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)
বর্তমানে অবশ্য ওই ঘটনার রেশ কাটিয়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরেছেন আরিয়ান। উপরন্তু ‘জওয়ান’ ছবিতে শাহরুখের ‘বেটে কো হাত লাগানে সে পহেলে বাপ সে বাত কর’ ডায়লগ শুনেও অনেকে আরিয়ানের মাদক কাণ্ডের সঙ্গেই যোগসূত্র খুঁজেছিলেন। এবার এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। একই সঙ্গে কটাক্ষ শানাতেও ছাড়লেন না কিং খানকে।
কটাক্ষ শানাতে ছাড়লেন না সমীর: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমীরকে (Sameer Wankhede) প্রশ্ন করা হয়েছিল আরিয়ানের মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারি এবং জওয়ান ছবিতে শাহরুখের সেই বহুল চর্চিত সংলাপের বিষয়ে। যদিও আরিয়ানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। সমীর (Sameer Wankhede) বলেন, কোনো নাম নিয়ে কাউকে ‘জনপ্রিয়’ করতে চান না তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরো পড়ুন : তিন তিনটি পদ্ম পুরস্কার প্রাপক, পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি, আজ দুবেলার খাবার জোটে না এই শিল্পীর!
জওয়ানের সংলাপ নিয়ে মন্তব্য ওয়াংখেড়ের: তবে জওয়ান ছবির সংলাপটির বিষয়ে রীতিমতো কটাক্ষ শানাতে দেখা যায় সমীরকে (Sameer Wankhede)। তিনি বলেন, সংলাপে ‘বাপ’ ‘বেটা’র মতো শব্দ ছিল যা তাঁর মতে অত্যন্ত ‘সস্তা’ এবং ‘থার্ড রেট’এর। এই ধরণের ভাষা ভারতীয় সংষ্কৃতির সঙ্গে যায় না এবং ‘রকের ভাষা’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর উত্তর দেওয়ার জন্য অত নীচে তিনি নামতে পারবেন না বলেও তীর্যক মন্তব্য করেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)।
আরো পড়ুন : ‘ঝুঁকেগা নেহি…’, পুষ্পাকে ঘোল খাইয়ে বাংলায় অব্যাহত বহুরূপীর দাপট, ৭০ দিন পরেও হাউজফুল! শিবপ্রসাদ বললেন…
প্রসঙ্গত, ২০২১ এর মাদক কাণ্ডের বিষয়ে সমীর ওয়াংখেড়ে সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে সিবিআই। সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, খান পরিবারের থেকে ২৫ কোটি টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ৫০ লক্ষ টাকা নাকি ঘুষও নিয়েছিলেন সমীর। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছিলেন, কয়েকজন এনসিবি আধিকারিক প্রতিহিংসা বশত তাঁকে ফাঁসিয়েছেন।