‘সব ধর্মকে মন থেকে সম্মান করি, কিন্তু…’! সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মন্তব্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। বিরোধীদের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এবার ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে রানি রাসমণি লেনে সভায় এসে এই নিয়ে মুখ খুললেন ববি নিজে।

সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মন্তব্য বিতর্কে কী বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?

বক্তব্যের শুরুতেই বিজেপি নেতা অমিত মালব্যকে নিশানা করেন ফিরহাদ। তাঁকে ‘মিথ্যা মালব্য’ বলে তোপ দাগেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। দাবি করেন, ‘তিনি আমার একটা কথাকে কীভাবে ঘুরিয়ে সাম্প্রদায়িক মানে দেবেন, সেই জন্য টিভি চালিয়ে বসে আছেন’।

ববি (Firhad Hakim) বলেন, ‘আমি সব ধর্মকে হৃদয় দিয়ে সম্মান করি। তবে নিজের ধর্মকে ১০০% মানি। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার অগ্রগতি বলা যদি অন্যায় হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে আমি অন্যায় করেছি। যদি শিক্ষার অগ্রগতি, শিক্ষিত হও বলা অন্যায় হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে আমি অন্যায় করেছি। নিজের সম্প্রদায়কে শিক্ষিত হওয়া বলার অর্থ অন্য সম্প্রদায়কে অশিক্ষিত হওয়া বলা নয়। সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। কিন্তু যারা পিছিয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে… আমি নোংরা রাজনীতির পরোয়া করি না। সে যেই করুক না কেন, আমি পরোয়া করি না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ ছাড়া কারোর সামনে মাথা নত করা যায় না’।

আরও পড়ুনঃ উদয়ের কাছে হেরে ভূত আদৃত! হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টপার হল কে? রইল হাতেগরম TRP তালিকা

ফিরহাদ এদিন দাবি করেন, তিনি পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষিত হওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে টিভি চ্যানেলগুলি সেটিকে সাম্প্রদায়িকতার আলোয় দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তৃণমূল নেতার কথায়, ‘আমার হিন্দু বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্তু সেটা হয় না। কারণ ফিরহাদ হাকিমের কর্মটাই জীবন’।

Firhad Hakim

বাংলাদেশে যা ঘটছে সেটাকে সমর্থন করি না বলে জানান ফিরহাদ। একইসঙ্গে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। কলকাতার মেয়র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ওয়াকফ বিল আনার চেষ্টা করছে সেটা অন্যায়’। মোদী সরকার এখন ওয়াকফ সম্পত্তি হটাতে চাইছে। এই বিল পাশ হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

এদিন মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, ‘আপনি তো দু’টো স্ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটছেন। একটা স্ক্র্যাচের নাম হচ্ছে নীতিশ কুমার, আরেকটা স্ক্র্যাচের নাম হচ্ছে চন্দ্রবাবু নায়ডু। যেদিন একটা স্ক্র্যাচ পড়ে যাবে, আপনিও পড়ে যাবেন’।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর

X