বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালির ঘটনা। বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির তরফে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল ওই সন্দেশখালীর বাসিন্দা রেখা পাত্রকে (Rekha Patra)। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ভোটগ্রহণ ও গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইলেকশন কমিশনে পিটিশন দাখিল করেছিলেন বসিরহাট কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রেখা পাত্রর ইলেকশন পিটিশনের রিপোর্ট দিয়ে ভর্ৎসিত অফিসার
এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন অভিজ্ঞ তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাই আবার বসিরহাটে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি। রেখা পাত্রের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইলেকশন কমিশন উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত রেখা পাত্র নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে যে পিটিশন দাখিল করেছিলেন বৃহস্পতিবার ওই মামলাতেই স্বতঃপ্রণোদিত রিপোর্ট জমা পড়ে। আর তাতেই আদালতের (Calcutta High Cour) ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বসিরহাট কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার। তিনি মুখে পক্ষপাতদুষ্ট নন বললেও রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্যের হয়েই।
আরও পড়ুন: কাল থেকেই টানা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! কতদিন নিম্নচাপের ফাঁড়া? আবহাওয়ার আগাম খবর
আর তাতেই ওই রিটার্নিং অফিসারের ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন জাস্টিস কৃষ্ণা রাও। তবে এদিন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই নিজের ভুল স্বীকার করেন ওই রিটার্নিং অফিসার। একইসাথে ওই রিপোর্ট প্রত্যাহার করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। যদিও তারপরেও আদালত ওই অফিসারের কাছ থেকে লিখিত জবাব তলব করেছে।
অন্যদিকে মামলাকারীর আইনজীবীও এদিন আদালতে প্রশ্ন করেন নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ অফিসার হয়েও তিনি কিভাবে রাজ্যের হয়ে রিপোর্ট দিচ্ছেন? এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই ওই রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতীত্বের অভিযোগ করেন তিনি। জানা যাচ্ছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৫ ই জানুয়ারি।