বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রমাগত দাম কমছে বাংলাদেশের মুদ্রার (Bangladesh Currency)। বিগত কয়েক বছর ধরেই ডলারের নিরিখে বাংলাদেশের টাকার দাম হু হু করে পড়েছে। বিগত ৩ বছরে সেই অবমূল্যায়ন ছিল রীতিমতো উদ্বেগজনক অবস্থায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, চলতি বছর সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি অবমূল্যায়ন হয়েছে বাংলাদেশের মুদ্রার।
বাংলাদেশের মুদ্রার (Bangladesh Currency) অবমূল্যায়ন
তবে খোলা বাজারে অবমূল্যায়নের হার প্রায় সাড়ে ১৪%। ক্রমাগত অধঃপতনের ফলে চলতি বছর এশিয়ার সবথেকে দুর্বল মুদ্রা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশের টাকাকে (Bangla Taka)। ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশে (Bangladesh) ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ১১০ শতাংশ ছিল।
আরোও পড়ুন : হঠাৎ ঘোষণা! ৭ শতাংশ DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, বছর শেষেই সুখবর
সেখানে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অনুমোদিত দর দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশী মুদ্রার অবমূল্যায়নের হার ৯.১০%। তবে এখনো ১২৬ টাকাতেও রেমিট্যান্সের ডলার ক্রয় করছে ব্যাংকগুলি। সেই হিসাবে ১৪.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে চলতি বছরে বাংলাদেশি মুদ্রার অবমূল্যায়নের হার, যেটি এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনো পর্যন্ত যদি হিসাব করে দেখা যায় তাহলে বাংলাদেশি মুদ্রার (Bangladesh Currency) অবমূল্যায়ন হয়েছে ৪৭ শতাংশ। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মুদ্রার এহেন অধঃপতনের মূল কারণ হচ্ছে এক দশক আগে নেওয়া ডলারের দর বেঁধে রাখার নীতি।
আরোও পড়ুন : বাড়ানো হোক গরমের ছুটি! শিক্ষকদের দাবি মেনে তালিকা বদলাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?
২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ডলারের দাম নির্দিষ্ট ভাবে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর্থিক বিশ্লেষকদের কথায়, সেই সময় উচিত ছিল ডলারের দামের নিরিখে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশি টাকার ধীরে ধীরে অবমূল্যায়ন ঘটানো। তাহলে আজকে এমন সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হত না। আর্থিক বিশ্লেষকদের আরো মত, টাকাকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী দেখানোর এক বেপরোয়া প্রচেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনার আমলে।
সেই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি মুদ্রাকে (Bangladesh Currency) অতিমূল্যায়িত করে রাখার চেষ্টা চালানো হয়। অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে এখন যেটা হচ্ছে তা অতীতের ভুল নীতির ফল। ডলারের দরকে বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে ধরে রাখা হয়েছিল। তাই টাকার রেকর্ড পরিমাণ অবমূল্যায়ন হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।’