বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন খয়রাতি প্রকল্পে আর যথেচ্ছ ভাবে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। কৃষি ঋণ মকুব থেকে বিনামূল্যে পরিবহণ খরচ বা বিভিন্ন ভাতার ক্ষেত্রে রাজ্য গুলির খরচে লাগাম টানার জন্য সতর্ক করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) তরফে। এইসব প্রকল্পগুলিতে অর্থ বরাদ্দ করায় জরুরি খাতে খরচের ক্ষমতা কমছে রাজ্যগুলির। এমতাবস্থায় উন্নয়নের কাজ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য বিভিন্ন রাজ্যকে সতর্ক করেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
খয়রাতি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যকে সতর্কবার্তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India)
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানা ধরণের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চলে। এর মধ্যে কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ মকুব করা থেকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ বন্টন বা পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী, মহিলাদের বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার প্রকল্পও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এমন বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে দিল্লি, পঞ্জাব সহ অন্যান্য রাজ্যের সরকারও। কিন্তু এবার এই খরচে লাগাম টানার বার্তা দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) তরফে।
কমাতে হবে ভর্তুকি খাতে খরচ: স্টেট ফিনান্সেস: আ স্টাডি অফ বাজেটস অফ ২০২৪-২৫ শীর্ষক একটি রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) তরফে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে বেশ কিছু রাজ্য কৃষি ঋণ মকুব, বিভিন্ন ভাতা প্রকল্পে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেছে। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে আরবিআই এর তরফে বলা হয়েছে, ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ কমানোর পাশাপাশি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার অভাব যাতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরো পড়ুন : স্বামী-শ্বশুরের হাত ধরে মেয়ের অনুষ্ঠানে রাইসুন্দরী, আরাধ্যার জন্যই এক হলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য?
রাজকোষে ঘাটতি কমানো গিয়েছে: তবে এমন নয় যে রাজকোষে ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়নি। এক্ষেত্রে আরবিআই (Reserve Bank of India) প্রশংসা করে জানিয়েছে, ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত তিন বছরে রাজকোষে ঘাটতি ৩ শতাংশের নীচে রাখতে পেরেছে রাজ্যগুলি।
আরো পড়ুন : ‘সন্তান চাইনি’, কোনো পরিকল্পনাই ছিল না, মেয়ের জন্ম নিয়ে বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তি রাধিকার
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিডিপির ০.২ শতাংশে ধরে রাখা গিয়েছে রাজস্ব ঘাটতি। এর ফলে রাজ্যগুলির মূলধনী ব্যয়ের ক্ষমতা বেড়েছে। পাশাপাশি ২০২১ এর মার্চের জিডিপির ৩১ শতাংশের তুলনায় চলতি বছর মার্চে তাদের দায়ের অঙ্ক নেমে গিয়েছে ২৮.৫ শতাংশে।