বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষাসেলের দুই শীর্ষ নেতা তথা দলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতম হালদারের উপর শাসক দলের কোপ পড়তেই তোলপাড় হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। এবার সেই ক্ষোভের আগুনে যেন আরোও খানিকটা ঘি ঢাললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) ট্যুইট
জানা গিয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ এনে শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সেখানেই দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষাসেলের সভাপতি ব্রাত্য বসু । এবার তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষের গলাতেও যেন একই সুর শোনা গেল। এককথায় বলা যায়, শিক্ষামন্ত্রীকেই সমর্থন জানালেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
ইতিমধ্যেই কুণাল ঘোষের তরফে একটি ট্যুইট প্রকাশ্যে এসেছে। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে জানিয়ে দেন, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পার্টির এডুকেশন সেলের সভাপতি মনিশঙ্কর মন্ডল, প্রীতম হালদার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের শৃঙ্খলাহীন কার্যকলাপের কারণেই তাদের সমস্ত পদ ও সংস্থা থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করেছেন।”
This is to inform you all that Shree Bratya Basu, Hon’ble MIC, Education dept. And President, Education Cell of Party, has expelled Monishankar Mandal, Pritam Halder and other related persons from all their posts and organisations with immediate effect because of their…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) December 20, 2024
শুধু তাই নয়, শীর্ষ নেতৃত্ব যে ব্রাত্য বসুর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন তাও পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে ট্যুইটে। পাশাপাশি কুণাল ঘোষ আরোও উল্লেখ করেন, “বিভ্রান্তির কোন প্রশ্নই আসে না। অনেকে অবশ্য বিকৃত সংবাদ তৈরি করে এবং মিথ্যা গল্প বানিয়ে বিষয়টিকে অন্য দিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” এদিকে কুণাল ঘোষের ট্যুইট আসার পরেই তৃণমূলের রাজনীতিবিদদা অন্য হিসেব কষতে শুরু করেছেন।
আরোও পড়ুন : রণবীর-দীপিকার কোলে ছোট্ট দুয়া, মেয়ের মুখ দেখালেন জুটি? ভাইরাল ছবির সত্যতা কী?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এসেছিল। অন্যদিকে, মণিশঙ্কর অবশ্য বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি গেম চেঞ্জার দাদা হিসেবেই উল্লেখ করেই পোস্ট করেছিলেন। তার কথায়, এরপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফোন করে আমায় যা তা বলেছিলেন। আমি অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো ছেলে আমায় এভাবে ভয় দেখানো যাবে না।