‘ভয়ঙ্কর অপরাধ…’! মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম কি ধর্ষণ? নজিরবিহীন রায় দিয়ে দিল হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের আবহে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল ‘নেক্রোফিলিয়া’ (Necrophilia) বিষয়টি। মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গমের কথা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন অনেকেই। এবার এই নিয়েই বড় রায় দিল হাইকোর্ট (High Court)। মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম অতি ভয়ঙ্কর অপরাধ। তবে এটি কি ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে? এবার জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত।

নজিরবিহীন রায় হাইকোর্টের (High Court)!

জানা যাচ্ছে, নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের এক মামলার শুনানি চলছিল ছত্তিশগড় হাইকোর্টে (Chhattisgarh High Court)। সেই মামলা ওই রাজ্যেরই একটি নিম্ন আদালতে বিচারাধীন ছিল। নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে খুনের পরেও নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ আনা হয়। নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের এই ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন মামলায় দু’জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয়জনকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। দ্বিতীয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে নিম্ন আদালতের তরফ থেকে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর উচ্চ আদালতের তরফ থেকেও সেই নির্দেশ বহাল রাখা হল।

আরও পড়ুনঃ ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’! জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ! জামিন মামলায় ‘খেলা’ ঘুরিয়ে দিল ED?

ছত্তিশগড় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রমেশ সিংহ ও বিচারপতি বিভু দত্ত গুরুর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম অতি ভয়ঙ্কর এক অপরাধ। তবে এটিকে আইনত ধর্ষণ বলা যায় না। এমনকি এটি পকসো (POCSO) আইনের অধীনও পড়ে না। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়েছে।

Chhattisgarh High Court on Necrophilia

নির্দেশনামায় হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ লিখেছে, আইনত, অপরাধ যখন সংঘটিত হচ্ছে, সেই সময় নির্যাতিতার জীবিত থাকা প্রয়োজন। সেই কারণে মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গমকে আইনত ধর্ষণ বলা যায় না। তবে নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তই যে জড়িত, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতের তরফ থেকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অভিযুক্তেরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে সেখানেও নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রাখা হয়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর