বাংলাহান্ট ডেস্ক: সকলেই চান বড়লোক হতে। তবে অল্প সময় বড়লোক হওয়া এত সহজ নয়। তাই কেউ কেউ লটারি কেটে কোটিপতি হতে চান। কিন্তু কখনো শুনেছেন বিয়ে করে কোটিপতি হওয়ার কথা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এক মহিলা বিয়ে করেই হয়ে উঠেছেন কোটিপতি। অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে। একটি বিয়ে নয় বরং একাধিক বিয়ে করেছেন তিনি। স্বপ্ন ছিল প্রথম থেকেই বড়লোক হওয়ার। ফলে কোটিপতি পুরুষদের ঠকিয়ে, টাকা হাতিয়ে পালিয়েছেন এই মহিলা। অবশেষে এক দশক পর গ্রেফতার হলো ওই “লুটেরি দুলহান”।
উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) “লুটেরি দুলহান” করেছেন একাধিক বিয়ে”:
বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, একাধিক বিয়ে করা মহিলার নাম সীমা। অনেকের কাছে তিনি আবার নিকি নামেও পরিচিত। তিনি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা। বিয়ে করে ঠকিয়ে তিনি এখনো পর্যন্ত ১.২৫ কোটি টাকার মালকিন হয়েছেন। ২০১৩ সালে প্রথমবার আগ্রার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। বিয়ে করার প্রথম কয়েক মাস বেশ সুখেই সংসার করছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই ওই ব্যবসায়ী স্বামী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এবং ওই পুরুষের কাছ থেকে খোরপোশ হিসেবে ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্যবসা।
দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সীমাঃ সীমার পরের টার্গেট ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। প্রথমবারের মতো এবারও কিছুদিন সুখে সংসার করেন। তারপরই নাটক শুরু। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে দ্বিতীয় স্বামীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এই টাকা নিয়ে তারপরই দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ করেন।
আরও পড়ুনঃ বলিউডের এই গায়কের ওপর রেগে রয়েছেন কোহলি! ইনস্টাগ্রামেও করেছেন ব্লক, কারণ জানলে অবাক হবেট
অবশেষে সীমাকে গ্রেফতার করল পুলিশঃ এরপর ২০২৩ সালে ফের বিয়ে করেন সীমা। তৃতীয়বার গাঁটছড়া বাঁধেন জয়পুরের এক ব্যবসায়ীয়ের সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে তিনি ঠিক অন্যভাবে নাটক করেন। প্রথমদিকে সুখী দাম্পত্যের অভিনয় করে থাকতেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন গয়না, ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সীমা। এরপরই উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ওই মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী পরিবার। তদন্ত করতে নেমে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ওই ‘লুটেরি দুলহান”-কে।
আরও পড়ুনঃ নিউ ইয়ারে দীঘা যাওয়ার প্ল্যান? এক্ষুনি পড়ুন রেলের এই নয়া আপডেট, না জানলেই পরে হাত কামড়াবেন
পুলিশরা জানিয়েছেন, সীমা ম্যাট্রিমনি সাইটের ব্যবহার করে এভাবে নিজের কাজ চালাত। আর তার এই কাজের টার্গেট হতো ডিভোর্স হয়ে গেছে কিংবা স্ত্রী মারা গেছে কোটিপতি পুরুষেরা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সীমার এমন কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সকলের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি তুলছেন অনেকেই। কারণ সীমার মত প্রতারকেরা আগামী দিনে সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তার বিরুদ্ধে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।