বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসে অবৈধ হোর্ডিং (Illegal Hoarding) সংক্রান্ত নানান খবর। বহুক্ষেত্রে জল গড়ায় আদালত অবধি। এবার এমনই একটি মামলায় কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
বিধাননগর-সল্টলেক চত্বর হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই অবৈধ! এই অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নোটিশ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় অবৈধ হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইন অনুসারে সল্টলেক অঞ্চলে ১৩৫টি হোর্ডিং (Hoarding) থাকা উচিত। সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যা আড়াই হাজার অতিক্রম করে গিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সামাজিক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই জন্য দায়ের হয় মামলা।
আরও পড়ুনঃ বর্ষবরণের আবহেই কড়াকড়ি! পরপর জঙ্গি ধরা পড়তেই বড় পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের
এরপর জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি হোর্ডিং সংস্থা। যদিও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, উচ্চ আদালতের নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নয়। তবে ওই সংস্থা যদি চায়, তাহলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। এরপর ফের নতুন করে আবেদন জানায় ওই সংস্থা। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ।
এদিন হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন আগের নির্দেশই বহাল রেখেছেন। অবৈধ হোর্ডিং সরাতেই হবে, স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গেই সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিধাননগর-সল্টলেক এলাকায় প্রচুর বেআইনি হোর্ডিং রয়েছে বলে অভিযোগ। এবার সেগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জাস্টিস ট্যান্ডনের বেঞ্চের নির্দেশ, নোটিশ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেগুলিকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর আগামী ৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেবেন পুরসভার আইনজীবী দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।