বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুতুল (Doll) সকলেই ভালোবাসেন। ঘর সাজানো থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলার জন্য অন্যতম বস্তু এই পুতুল। তবে সবথেকে বেশি নজরকাড়ে মাটির পুতুল কিংবা কাঠের পুতুল। বর্তমানে বিভিন্ন রকমের ভ্যারাইটি থাকলেও এগুলির মত কোনোটিই এতটা ঐতিহ্যবাহী নয়। একসময় গ্রামীণ মেলাগুলিতে এগুলি বেশ পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে দাঁড়িয়ে কলকাতা থেকে গ্রাম যে কোনো মেলাতেই এই হস্তশিল্পের বাহার দেখা যায়। আর এবার উত্তর দিনাজপুরের হস্তশিল্প মেলায় এই পুতুল বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়। আর এই পুতুল বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা।
উত্তর দিনাজপুরে মেলায় বিক্রি হচ্ছে পুতুল (Doll):
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur)হস্তশিল্প মেলায় আদিবাসী, বর কনে, বাউল, পূজারিনী সহ বিভিন্ন ধরণের জোড়া পুতুল (Doll) বিক্রি হচ্ছে। তবে এগুলি মাটির নয়, সব তৈরি হচ্ছে কাঠ দিয়ে। একসময় মাটির পুতুলের বিরাট চাহিদা থাকলেও, বর্তমানে কাঠের পুতুলের বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। আর এই কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে বহু মানুষ।
কিভাবে তৈরি হচ্ছে এই পুতুল: তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, হস্তশিল্প মেলায় যে কাঠের পুতুলগুলো (Doll) তৈরি হচ্ছে তা নিম কাঠ দিয়ে। প্রথমে কাঠকে সিদ্ধ করে তারপর বিভিন্ন রকমের আকার দিয়ে এগুলি তৈরি করা হচ্ছে। আর এই সেদ্ধ করা কাঠকে পুতুলের আকার দেওয়ার জন্য মেশিনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পুতুল গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদিবাসী বর কনে, সাঁওতাল, পূজারিণী, বর, বউ ইত্যাদি। প্রতিটা পুতুলের উপর নিখুঁত কাজ যে কারোরই নজর কাড়তে বাধ্য।
আরও পড়ুনঃ আর নেই চিন্তা! যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল, মিলবে এই বড় সুবিধা
পুতুল বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা: শীত পড়লেই উত্তর দিনাজপুরে শুরু হয় হস্তশিল্প মেলা। আর এইসময় কথিতপুতুলের বেশ চাহিদা দেখা যায়। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, জোড়া পুতুলের দাম মাত্র ১৩০ টাকা। স্বল্প দাম হওয়ার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদার ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে। আর যেহেতু এই কাজের সঙ্গে মহিলারা যুক্ত, তার উপর ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে স্বনির্ভর হতে পারছেন তারা।