বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষ হতে চললেও মেলেনি কাঙ্খিত ডিএ (Dearness Allowance)। এই আবহে নবান্নের সামনে ধরনায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এআইসিপিআই অনুযায়ী ডিএ (DA), সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগ, যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ এবং প্রতিহিংসামূলক বদলি বন্ধের দাবি তুলে এই ধরনা হয়েছিল।
এই মর্মে মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। এরই মধ্যে এবার বড় আপডেট সামনে আসছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ জানান ভাস্কর ঘোষ গতকাল নবান্নে সরকার পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। ভাস্করবাবু বলেন, ‘বলা হয়, বেঙ্গালুরু এবং এখানকার জীবনযাপনের মানের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। সেটা নয়। এখন আর সেটা বলা যাবে না।’
‘তার কারণ, এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা যে কম বেতন পাচ্ছেন, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলার প্রত্যেকটা মানুষ এখানে কম বেতনে চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেটার অবসান ঘটাতে হবে। রোপা ২০১৯-এর রিপোর্টে দিনের আলো দেখান। এবং ডিএ বৃদ্ধি করা চাই।’ বলেন ভাস্করবাবু।
তিনি আরও বলেন,’ রাজ্যে মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্য পদ আছে। ইতিমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে যে শূন্য পদ রয়েছে বলে প্রশাসন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে সেই সব শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছি। সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি কথা তারা বলেছেন।’
ভাস্করবাবু বলেন, ‘এখানে অধিকাংশ শূন্য পদের জন্যে কোনও কোর্ট কেস নেই। সমাজের তরুণদের জন্যে সরকারি চাকরির দরজাটা না খুললে তাদের ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হবে। ফলত বাংলার বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গোটা পশ্চিমবঙ্গকে বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত করবেন।’ গোটা রাজ্যটাকে বাঁচাতে স্বচ্ছ ভাবে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আচমকাই DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের! কত শতাংশ? বছর শেষে সুখবর
তিনি আরও বলেন,’ সরকার অন্তত সরকারি চাকরিগুলিকে ওজন দরে বিক্রি করাটা বন্ধ করুক। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করেছি নিয়োগ করার। আগের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। পাখি বলানোর মতো করে বলেছে।” তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর যে ক’টা নিয়োগ দিনের আলো দেখেছে, সেই ক’টা নিয়োগে আগের মতো আর চাকরি বিক্রিটা হয়নি। যেখানে হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, সেখানে সে প্রচেষ্টা রুখেছি’, বলেন ভাস্করবাবু।
শেষে ভাস্করবাবু বলেন,’ আমাদের দাবিতে আমরা অস্থায়ী কর্মী, নির্দিষ্ট ভাবে প্যারা টিচারদের কথা বলেছি। শিক্ষা বন্ধুদের কথা বলেছি। সিভিক ভলান্টিয়ার, পঞ্চায়েত ডিপার্টমেন্টের অধীনে চাকরি করা হোমিওপ্যথি ডাক্তারদের ক্ষেত্র ধরে ধরে সেই সবার নাম বলেছি। তারা সেই সংক্রান্ত নোট নিয়েছেন।’