বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর কেটে গিয়েছে চার মাস। তবে এই ঘটনার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। সন্তান হারানোর শোক টাটকা তিলোত্তমার মা-বাবার মনে। সম্প্রতি এই মামলায় আরও তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে সেই আবেদনের শুনানি হয়েছে। সেখানেই নির্যাতিতার পরিবারকে বড় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিলোত্তমার পরিবারের মামলা আদৌ শুনবে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
এদিন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে আইনজীবী বলেন, ‘আমরা ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই তদন্ত চাইনি। আমরা স্বচ্ছ তদন্তের কথা বলেছি’। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী বলেন, ‘এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে’।
সুপ্রিম কোর্ট আদৌ এই মামলায় নজরদারি করছে কিনা তা নিয়ে দ্বিমত দেখা যায় নির্যাতিতার পরিবার এবং সিবিআইয়ের মধ্যে। বিচারপতি ঘোষ আবার জানতে চান, ‘আদতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন বিষয়ের বাইরে নতুন কিছু নিয়ে আবেদন করেছেন কিনা?’ তিলোত্তমার মা-বাবার তরফে আইনজীবী জানান, চিকিৎসকরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন। সেখানে পরিবার স্রেফ পার্টি হয়েছে। কোথায় কী কী পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে সেটা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলাদেশের দু’টি..,’ বড় বিপদে শুভেন্দু! BJP নেতাকে নিয়ে বিরাট খবর, তোলপাড় রাজ্য
কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) আইনজীবী তখন পাল্টা জানান, তাঁরা আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের কষ্ট বুঝতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আমরা রিপোর্ট দিয়েছি। হাইকোর্টে ৫-৬টা মামলা হয়। হাইকোর্ট আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে’।
তিলোত্তমার পরিবারের উদ্দেশে এরপর জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা মনিটর করছে। কিছু জুডিশিয়াল ডেকরাম রয়েছে। ক্রিমিন্যাল রিভিশন হলে অন্য কথা ছিল’। সেকথা শুনে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, ‘কেউ মনিটর করছে না’। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চে যান। তারা যদি স্পষ্ট করে দেয় এই বেঞ্চ শুনতে পারে, তাহলে আমার কোনও আপত্তি নেই। নাহলে আপনারাই ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে পারেন’। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির প্রশ্ন, ‘একটা তদন্তকারী সংস্থা কতগুলি ফোরামে যাবে? তদন্ত না করে কি তারা এসব করবে?’ এদিকে তিলোত্তমার পরিবারকে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও এই মামলা নিজের হাতেই রেখেছেন বিচারপতি ঘোষ। আগামী ১৫ জানুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ সিঙ্গেল বেঞ্চকে জানাতে হবে।