বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার এই আর্থিক দুর্নীতিতেই সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং তাঁর দুই শাগরেদ সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহের ‘কীর্তি’ ফাঁস করল সিবিআই। ‘দুর্নীতির ত্রিভুজ’ কীভাবে কাজ করতো, সেটা চার্জশিটে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি কর (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বড় খবর!
সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ‘দুর্নীতির ত্রিভুজে’র মাথায় ছিলেন সন্দীপ এবং দুই হাত ছিলেন হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার কর্ণধার সুমন এবং বিপ্লব। এই ভাবেই ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ‘কেলেঙ্কারি’ হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে আসে দুর্নীতির নানান অভিযোগ। সেই সূত্র ধরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং দুই সরঞ্জাম সরবরাহকারী সুমন ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, ওই দু’জনের সংস্থাকে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৬ কোটি ৮৯ লক্ষের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ। প্রায় ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ‘বিপদে পড়তে পারেন’! তিলোত্তমার পরিবারের মামলা শুনবে হাইকোর্ট? বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি
জানা যাচ্ছে, আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ‘দুর্নীতির ত্রিভুজে’র কথা জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্রকারী সংস্থা। ২০১৭ সালে সন্দীপকে যখন ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের (National Medical College) মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট করে পাঠানো হয়েছিল, সেই সময় এই ‘ত্রিভুজ’ তৈরি হয়েছিল বলে খবর। সিবিআইয়ের চার্জশিটে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিট বলছে, ২০১৬-১৭ সালে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে সুমন এবং বিপ্লবের সংস্থা কোনও বরাত পায়নি। তবে ২০১৭-১৮ সালে, যখন সন্দীপ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন, সেই সময় বরাত বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৩ হাজার ২৮০ টাকা। ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ সালে তা আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। ২০২০-২১ সালে সেই অঙ্কটা গিয়ে পৌঁছয় ৪৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬১ টাকায়।
২০২১ সালে সন্দীপ ঘোষ আরজি করের (RG Kar Case) অধ্যক্ষ হয়ে আসার পর সেই ‘উত্থান’ ধাক্কা খায়। সিবিআই চার্জশিট অনুযায়ী, সন্দীপ ন্যাশানাল মেডিক্যাল ছেড়ে চলে আসার পর সুমন, বিপ্লবের সংস্থার বরাতের অঙ্কটাও কমতে থাকে। ২০২১-২২ সালে তা এক ধাক্কায় নেমে আসে ২১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০ টাকায়। পরের বছর তা আরও কমে যায়। ২০২২-২৩ সালে তা দাঁড়ায় মাত্র ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৪০ টাকায়।