বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের ইতিহাস তৈরি করার পথে ISRO। চলতি বছরেই বিরাট নজির গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বিশ্বের মাত্র ৩ টি দেশের (আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন) কাছে মহাকাশে দু’টি মহাকাশযান বা স্যাটেলাইট ডকিং করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে, ভারতও এবার ঢুকতে চলেছে এই বিশেষ ক্লাবে। যেটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফের ইতিহাস গড়ার পথে ISRO:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ISRO ভারতের “SPADEX” মিশন উৎক্ষেপণ করবে। এই মিশনের আওতায় PSLV-C60 রকেট থেকে একসঙ্গে দু’টি ছোট মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। এই মিশনে সাফল্য পেলে ভারত ইতিহাস গড়বে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনকারী চতুর্থ দেশ হয়ে উঠবে ভারত।
নিউ গ্যালারি থেকে দেখা যাবে লাইভ: এমতাবস্থায়, আপনিও যদি এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে চান, সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করার পর, লঞ্চ ভিউ গ্যালারি থেকে লাইভ লঞ্চিং দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ISRO-র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। গত সোমবার সন্ধ্যে ৬ টা থেকে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ISRO তার “X” অ্যাকাউন্টে PSLV-C60 রকেটকে লঞ্চপ্যাডে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটিও শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন: জিততেই হবে মেলবোর্ন টেস্টে! এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রোহিত, অবাক অনুরাগীরাও
এই মিশনের উদ্দেশ্য: জানিয়ে রাখি, এই মিশনের উদ্দেশ্য হল মহাকাশে মহাকাশযানকে “ডক” এবং “আনডক” করার ক্ষমতা প্রদর্শন করা। উল্লেখ্য যে, একটি মহাকাশযানের সাথে অন্য মহাকাশযানের সংযুক্ত হওয়াকে “ডকিং” বলা হয় এবং মহাকাশে সংযুক্ত দু’টি মহাকাশযানের পৃথকীকরণকে বলা হয় “আনডকিং”। চাঁদ থেকে নমুনা ফিরিয়ে আনা এবং ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন (BAS) নির্মাণের মতো ভারতের বহু প্রতীক্ষিত মিশনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আর নেই চিন্তা! যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল, মিলবে এই বড় সুবিধা
“SPADEX” মিশন: এই মিশনটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রাত ৯ টা বেজে ৫৮ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুসারে) ISRO একটি PSLV-C60 রকেটে উৎক্ষেপণ করবে। যা উভয় মহাকাশযানকে নিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার ওপরে। সেখানে লোয়ার অরবিটে স্থাপন করা হবে। উভয় মহাকাশযান পৃথিবীর দিকে ৫৫ ডিগ্রি কোণে ঝুঁকে থাকবে। একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করার পরে, দু’টি মহাকাশযান ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সরে যাবে। এর পরে, বেঙ্গালুরুতে ISRO-র মিশন কন্ট্রোলে থাকা বিজ্ঞানীরা জটিল এবং সুনির্দিষ্ট “ডকিং” এবং “আনডকিং” শুরু করবেন।