বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা (West Bengal Government Employees)। ২০২৪ শেষ হতে চললেও মেলেনি কাঙ্খিত ডিএ (DA)। এই আবহে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে নবান্নের সামনে ধরনায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। সেখানে মঙ্গলবার হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা থেকে রাজ্য সরকারের অনুদানের রাজনীতি নিয়ে আওয়াজ তোলেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। একই সঙ্গে অরাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকারও বার্তা দেন শুভেন্দু। নিজের বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ অরাজনৈতিক সংগঠন। রাজ্য সরকারের দ্বারা তারা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত, পীড়িত, শোষিত এবং আক্রান্ত। যতগুলি কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং ভোটের পাটিগণিতের অঙ্কের বাইরে দাঁড়িয়ে আমি থাকার চেষ্টা করেছি।’
বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অত্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর কয়েক দফায় ভিক্ষার মতো করে ছুড়ে দেওয়া ৩-৪-৫% (ডিএ) আপনারা যা পাচ্ছেন, সেটাও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আপসহীন লড়াইয়ের ফল।’ মমতা সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ‘পুজোয় চাঁদা দিচ্ছেন, ৮০ হাজার। ইমাম-মোয়াজ্জেমদের দিয়েছেন, পুরোহিতদের দেবেন বলছেন। বিধানসভা ভোট কঠিন হলে দেখা যাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১৫০০ টাকা দিচ্ছেন। আর এদিকে তিনি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ, আর চাকরি তিনি দেবেন না।’
আরও পড়ুন: ‘মাস্টারমাইন্ড’ সন্দীপ! আর জি করে কীভাবে কাজ করতো ‘দুর্নীতির ত্রিভুজ’? চার্জশিটে বিস্ফোরক CBI
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এআইসিপিআই অনুযায়ী ডিএ (DA), সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগ, যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ এবং প্রতিহিংসামূলক বদলি বন্ধের দাবি তুলে এই ধরনা হয়েছিল। এই মর্মে মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশনও জমা দেন।গতকাল নবান্নে সরকার পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে বলে জানান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ।