বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী তিনি। এবার সেই মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে জমা পড়ল চিঠি। সেই চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই ৬ জন বিধায়ক। জানা যাচ্ছে, মানসের (Manas Bhunia) বিরুদ্ধে আনা হয়েছে বড় অভিযোগ!
মানসের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কদের?
একদা কংগ্রেসের অংশ ছিলেন। ২০১৬ সালে দলবদল করে তৃণমূলে নাম লেখান মানস ভুঁইয়া। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বিধায়ক তিনি। সেই সঙ্গেই রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ মমতাকে চিঠি দিলেন।
জানা যাচ্ছে, দলের সংগঠনে আলাদা করে নিজেদের গোষ্ঠী তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে মানসের বিরুদ্ধে। ‘গোষ্ঠী রাজনীতি’র পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ‘আদি’ নেতাদের সংগঠনে কোনও কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ‘স্বজনপোষণে’র অভিযোগও আনা হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানসের বিরুদ্ধে মমতাকে পাঠানো ওই চিঠিতে সই রয়েছে কেশপুরের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রম প্রধান, ডেবরার বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীরের। তৃণমূল সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সকল তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মমতাকে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ‘আদি তৃণমূল’ হিসেবে পরিচিত।
রিপোর্ট বলছে, মমতাকে পাঠানো ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, মানসকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘গোষ্ঠী রাজনীতি’ করতে ‘সাহায্য’ করছেন জেলা সংগঠনের সভাপতি তথা সদ্য বিধানসভা উপনির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে জয়ী হওয়া তৃণমূল নেতা সুজয় হাজরা। এই আবহে এবার জেলা সংগঠনের কাছে মমতার হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও মমতাকে চিঠি দিয়েছিলেন দলীয় বিধায়কদের একাংশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মানসকে নিয়ে জমা পড়ল চিঠি। এমতাবস্থায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।