বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরকারি স্কুলগুলোতে পাশ ফেল প্রথা (Pass-Fail System) ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। বিশেষ করে কেন্দ্রের এই নীতি রাজ্য স্তরের স্কুলগুলিতেও লাগু করার বিষয়ে তৈরি হয় বিরাট ব্যাপক জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর এবার রাজ্যের স্কুল গুলিতেও কি এই পুরনো প্রথা ফিরে আসবে?
পশ্চিমবঙ্গেও চালু হবে পাশ-ফেল প্রথা (Pass-Fail System)?
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই প্রথা (Pass-Fail System) ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তবে এই ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী মন্তব্য করার পর শিক্ষা দপ্তরের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে খাতায় কলমে এই প্রথা কার্যকর করার গেজেট নোটিফিকেশন থাকা সত্ত্বেও কেন তা স্কুল স্তরে চালু করা হয়নি? দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাশ ফেল প্রথা আবার ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সমস্ত স্কুলগুলিতে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাশ (Pass-Fail System) করা বাধ্যতামূলক। তবে শিক্ষা দফতরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও তা কবে থেকে চালু করা হবে সে কথা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। এই নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী পঞ্চম এবং অষ্টম এই দুই ক্লাসে ওঠার পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না তাদের জন্য থাকবে আরও একটা সুযোগ।
আরও পড়ুন: সৌমিত্র খাঁ-র প্রস্তাবে সায় মোদীর! বিষ্ণুপুরবাসীর জন্য চালু হচ্ছে একজোড়া রেল প্রকল্প
তবে ওই দ্বিতীয় সুযোগেও যদি কেউ পাস করতে না পারে তাহলে তাকে ওই একই ক্লাসে আরও এক বছর থেকে পড়াশোনা করতে হবে। কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) দাবি করেছিলেন, কেন্দ্র সরকার পাশ-ফেল প্রথা নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি এখন প্রকাশ করেছে তা নাকি রাজ্যে অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে। কেন্দ্র আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের নীতিকেই অনুসরণ করছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে এই রাজ্যে গ্যাজেট নোটিফিকেশন থাকা সত্ত্বেও খাতায়-কলমে এই পাশ-ফেল প্রথা এখনও পর্যন্ত কেন স্কুল স্তরে চালু হয়নি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অন্দরে। তবে জানা যাচ্ছে, সমস্ত দিক বিচার-বিবেচনা করে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রীর দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধন্দ। তাহলে কি এবার এই প্রথা পুনরায় চালু করার জন্য নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর? এবার এই প্রশ্নই ঘুরছে নানা মহলে।