বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজস্ব হোক বা ভাড়া করা, কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গাড়িতে ‘কেপি’ লেখা থাকতে দেখা যায়। বহু পুলিশকর্মীর গাড়ি, বাইক বা স্কুটিতেও এই স্টিকার চোখে পড়ে। এবার এই নিয়েই কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল লালবাজার (Lalbazar)। সব গাড়ি থেকে ‘কেপি’ (KP) লেখা এই স্টিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘কেপি’ লেখা স্টিকার নিয়ে কড়াকড়ি লালবাজারের (Kolkata Police)!
আগেই সব গাড়ি থেকে ‘কেপি’ লেখা স্টিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। তবে তা সত্ত্বেও দেখা যায় বহু গাড়িতে এখনও এই স্টিকার জ্বলজ্বল করছে। সেই কারণে অবিলম্বে এই স্টিকার খোলার জন্য পুনরায় নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি গাড়ি থেকে এই স্টিকার খুলতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ‘কেপি’ লেখা স্টিকার (KP Sticker) খোলার জন্য লালবাজারের প্রত্যেকটি ডিভিশন, থানা এবং গার্ডে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ‘কেপি’ লেখা স্টিকার না খোলা হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গেই জরিমানাও হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় খবর! পার্থ-কুন্তলের বিরাট পদক্ষেপ! বছর শেষের আগেই তোলপাড় রাজ্য
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশের (Kolkata Police) গাড়ি শুধু নয়, বহু সাধারণ মানুষের গাড়িতেও ‘কেপি’ লেখা স্টিকার দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের নজরদারিতে একাধিক ‘ভুয়ো’ ‘কেপি’ স্টিকার লাগানো গাড়ি পুলিশের চোখে পড়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও গাড়ির চালক ‘কেপি’র সঙ্গে মিলিয়ে নিজের নাম, কেউ দোকানের নাম, কেউ আবার কোন শহরের বাসিন্দা সেটা বলেছেন। এছাড়াও অনেকে এই স্টিকার দেখিয়ে দুর্ব্যবহারও করছেন বলে অভিযোগ।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, লালবাজারের তরফ থেকে একসময় ভাড়া নেওয়া হয়েছিল এমনও বহু গাড়ি রয়েছে যেগুলির হয়তো বরাত বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে সেখানে এখনও লাগানো রয়েছে ‘কেপি’ লাগানো স্টিকার। সেটাকে ‘ঢাল’ বানিয়ে ওই গাড়িগুলির চালক অথবা মালিক ট্রাফিক আইন ভাঙছেন।
এর পাশাপাশি ‘কেপি’ লাগানো এই স্টিকারের অপব্যবহার করে সাইবার জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে বলে খবর। সেই কারণে সব মিলিয়ে, প্রত্যেক গাড়ি থেকে এই স্টিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার (Kolkata Police)। এদিকে পুলিশকর্মীদের গাড়িতে কেন ‘কেপি’ লেখা স্টিকার থাকতে পারবে না, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে কর্মীদের একাংশের কথায়, ওই ‘শব্দ’ ব্যবহার করে অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত সুযোগ নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছিল। সেই জন্য লালবাজারের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।