বাঘের আতঙ্কের মধ্যেই এবার “এন্ট্রি” লেপার্ডের! ঘুম উড়ল বন দফতরের, ভয়ে সিঁটিয়ে গ্রামবাসীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই বাঘের (Tiger) আতঙ্কে শুরু হয়েছে হইচই। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ২৬ দিন ধরে থাকা এই আতঙ্কের মধ্যে “এন্ট্রি” হল নতুন বিপদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের রেহমান খেদা এলাকায় গত ২৬ দিন ধরে বাঘের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঠিক এই আবহেই একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে বকশী পুকুর এলাকায়। যার ফলে রীতিমতো ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর।

বাঘের (Tiger) আতঙ্কের মধ্যেই “এন্ট্রি” লেপার্ডের:

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুরু গোবিন্দ সিং স্পোর্টস কলেজ ক্যাম্পাসে চিতাবাঘ দেখতে পান হকি খেলোয়াড়রা। এদিকে, প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী , ওই কলেজ ক্যাম্পাসের ভিআইপি গেস্ট হাউসের সুইমিং পুল এলাকায় চিতাবাঘটিকে দেখতে পান খেলোয়াড়রা। এমতাবস্থায়, তাঁরা বিষয়টি কলেজ প্রশাসনকে জানান। এদিকে, দু’দিন আগেও টেন্ট হাউসে চিতাবাঘ দেখতে পেয়েছিলেন একজন কর্মচারী।

In the panic of the tiger, the leopard was seen this time.

খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে: এমতাবস্থায়, বারংবার চিতাবাঘ দেখতে পাওয়ার পরে, স্পোর্টস কলেজ প্রশাসন শুক্রবার হোস্টেলের স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের সতর্ক থাকতে বলে একটি নোটিশ জারি করেছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে স্পোর্টস কলেজের অধ্যক্ষ অজয় ​​শেঠি বলেন, চিতাবাঘের দেখা পাওয়ার তথ্য জেলা বন বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। ডিএফও শিতাংশু পান্ডে জানান, খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল পাঠানো হয়েছিল। এমতাবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে, ওই দলটিকে আগামী তিন দিনের জন্য কলেজে মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নীতীশের সেঞ্চুরিতে তৈরি হল ইতিহাস! অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে গড়লেন দুর্ধর্ষ নজির

বাঘের ভয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েকদিন ধরে রেহমান খেদা এলাকায় বাঘের (Tiger) আতঙ্ক বজায় রয়েছে। সেখানে থাকা একটি ক্যানেলের পাড়ে বাঘটি একটি নীলগাইকে শিকার করে। জানা গিয়েছে যে, ওই বাঘটি ইতিমধ্যেই পাঁচটি প্রাণী শিকার করেছে। সবরকম চেষ্টা করার পরেও বনবিভাগের দল ওই বাঘটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন: পোশাক বিধি লঙ্ঘন করে পরেছিলেন জিন্স! টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়তেই গর্জে উঠলেন ম্যাগনাস কার্লসেন

এদিকে, গত শুক্রবার জামালপুর ও শাহপুর গ্রামে বাঘের (Tiger) গর্জন শুনে চাষের জমিতে জল দিতে আসা কৃষকরা প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসেন। রসুন ও সরষের ক্ষেতে পাওয়া পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে বাঘের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডিএফও শিতাংশু পান্ডের মতে, বাঘের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ২৭ টি জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এদিকে, থার্মাল ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুধওয়া টাইগার রিজার্ভ থেকে একটি ট্রান্সপোর্টেশন খাঁচাও চাওয়া হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর