বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাঝখানে কেটে গিয়েছে চার মাস। এখনও পর্যন্ত বিচার পাইনি আরজিকরের (RG Kar) নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক। গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা সিএফএসএল রিপোর্ট অর্থাৎ সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরী রিপোর্ট অনুযায়ী দাবি করা হচ্ছে ওই সেমিনার রুম নাকি আসলে ‘ক্রাইম সিন’ই নয়।
আরজিকরের (RG Kar) ভিডিও ফুটেজ নিয়েও চিকিৎসকদের প্রশ্নের মুখে CBI
আর এবার আদালতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের আশঙ্কা তদন্তকারী অফিসাররা জেনে বুঝেই এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়াকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। এখন শিয়ালদা আদালতে চলেছে আরজিকর মামলার শুনানি।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ দেবাশীষ হালদার এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন আরজিকর (RG Kar) মেডিকেলের এমারজেন্সি বিল্ডিং থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের দূরত্ব প্রায় ৬০০ মিটার। অথচ লিফট বা সিঁড়ি দিয়ে নামা থেকে শুরু করে বাইক স্টার্ট দেওয়া, সমগ্র পথটা নাকি অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় মাত্র তেতাল্লিশ সেকেন্ডে পেরিয়ে গিয়েছিল! সিবিআই এর জমা দেওয়া এই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েই আমাদের মনে সংশয় রয়েছে। এতটা পথ এত কম সময়ে তো সুপারম্যানও পেরোতে পারবে না। তাহলে কি কিছু আড়াল করা হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: ইডির হাতে এল মেরুন ডায়েরি! পর্দা ফাঁস রেশন দুর্নীতির বড় সিন্ডিকেটের
এছাড়া এদিন তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টা নিশ্চিত নই বলেই প্রশ্ন তুলছি। তদন্তের এমন অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের মনে সন্দেহ রয়েছে। সেই সমস্ত সন্দেহ কাটিয়ে দিলেই আর প্রশ্ন থাকবে না’। ঘটনার ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে সিবিআই চার্জশিট পেশ করতে না পারায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন এই ঘটনার অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল এবং আরজিকর (RG Kar) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তারপরেই মেয়ের খুনের ঘটনায় তদন্তের দাবিতে নতুন করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখানে তারা গুরুত্বপূর্ণ ৪২ টি প্রশ্ন রেখেছেন।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নির্যাতিতার শেষকৃত্য অত তাড়াতাড়ি কেন করা হয়েছিল? ময়নাতদন্ত করার দাবিকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? কেন নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দীর্ঘক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় তাহলে কি দেহ উদ্ধারের সময় তিনি বেঁচে ছিলেন? কাকতালীয়ভাবে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে তোলা এই প্রশ্নগুলোর একটিও অমূলক নয়। ইতিমধ্যে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে সিএফএসএল রিপোর্টেও।