বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে ভারতবিদ্বেষ। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ওপার বাংলায় ক্রমশ মাথাচারা দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি। ২০২৪ সালে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির জেরে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের।
মূল্যস্ফীতির জেরে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ (Bangladesh)
যদিও হাসিনা (Sheikh Hasina) বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম একটি মূল ইস্যু ছিল এই মূল্যস্ফীতি। বর্তমান সরকার তো বটেই, হাসিনা সরকারও গত ২ বছর ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। মূল্যস্ফীতিতে (Price Hike) লাগাম টানতে না পারলেও, হাসিনা সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতির সঠিক হার লুকিয়ে রাখার একটা বেপরোয়া চেষ্টা হয়েছিল বছরের পর বছর ধরে।
সরকারের চাপে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিবিএস বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার ১০% এর নিচেই দেখিয়ে এসেছে এতদিন। তবে হাসিনা সরকারের অন্য একটি সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৫% এরও বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হলেও, বিবিএস বলেছে সেই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৯৪%।
আরোও পড়ুন : শীঘ্রই জেগে উঠবেন স্বয়ং শনিদেব, লাভবান হবেন এই ৩ রাশি, হাতের মুঠোয় সাফল্য!
গত বছর অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার দেখানো হয় ৯.৯৩ শতাংশ। গত জুন মাসের বন্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে হুহু করে বাড়তে থাকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় ক্রয় ক্ষমতা। তবে বিবিএস (BBS) তখন জানায়, সেদেশে জুন মাসে মাত্র ৯.৭২ শতাংশ ছিল মূল্যস্ফীতির হার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগস্ট মাসে রিপোর্ট পেশ করলে দেখা যায় যে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে, খাদ্যদ্রব্যে মূল্যস্ফীতির হার ছাড়িয়ে গিয়েছে গত ১৬ বছরের রেকর্ড। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি গিয়ে দাঁড়ায় ১১.৬৬ শতাংশে। অন্যদিকে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১৪.১০ শতাংশ।