বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাস্তাঘাটে অনেক সময় প্রয়োজন হয় প্যাকেজ ড্রিংকিং ওয়াটার (Drinking Water) কেনার। এই মিনারেল ওয়াটারকে অনেকেই চোখ বুঝে ভরসা করেন। তবে আপনাদের যদি জানাই দামি বোতলের প্যাকেজিং করে আদতে বিক্রি করা হচ্ছে মাটির তলার সাধারণ পুরসভার জল? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন অবৈধ জলের কারবার শহর ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে শহরতলীতেও।
প্যাকেজ ড্রিংকিং ওয়াটার (Drinking Water) নিয়ে বাড়ছে চিন্তা
অনেকে মাটির তলা থেকে ভূগর্ভস্থ জল তুলে প্যাকেজিং করে বিক্রি করছেন, আবার কেউ পুরসভার নলবাহিত জল সরাসরি বোতলে ভরে পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রাহকদের হাতে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে এই ধরনের অবৈধ ব্যবসার কথা জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্দেশ দেন তদন্তের। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে জলের লাইন কেটে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
কলকাতার পর এবার অবৈধ জলের ব্যবসার সন্ধান মিলল কোন্নগরে। পুরসভার কাছে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল অসাধু উপায়ে কিছু ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন পানীয় জল (Drinking Water)। কোন্নগরের পুরপ্রধান স্বপন দাস অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে সোজা পৌঁছে যান কোন্নগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা আর এন টেগর রোডে। অবৈধ জল ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করেন হাতেনাতে।
আরোও পড়ুন : কানাকড়িও দিয়ে যাননি স্ত্রীকে, ৬০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তি কার নামে উইল করে যান রাজেশ খান্না?
পুরপ্রধান স্বপন দাস জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে থানায়। পুরপ্রধানের কথায়, প্রত্যেকের বাড়িতে যাতে জল পৌঁছায় তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুরসভা। যদিও অনেকের বাড়িতেই পৌঁছাচ্ছে না পর্যাপ্ত পানীয় জল। অনুসন্ধান করে জানা যায়, অনেক অসাধু ব্যক্তি বোরিং মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে তুলছেন ভূগর্ভস্থ জল।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এভাবে জলের ব্যবসা করছেন তারা। খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানা যায়, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী পুরসভার পানীয় জল (Drinking Water) প্যাকেজিং করে বিক্রি করছেন খোলা মার্কেটে। অভিযোগ এইভাবে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার লিটার জল তোলা হচ্ছে অবৈধভাবে। কম দামে বাজারে বিক্রি হওয়া এই জল শরীরের পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।