বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) ইতিমধ্যেই চার্জগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। সোমবার বিচারভবনে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তবে এদিন সকালে আচমকাই জেলের মধ্যে জ্ঞান হারান মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। এরপরেই সামনে আসছে বড় আপডেট।
চার্জগঠন প্রক্রিয়ার শুনানি কবে হবে (Primary Recruitment Scam)?
এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আদালতে ইডির মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অসুস্থতার দরুন আজ চার্জ গঠনের শুনানি সম্ভব হয়নি। বিচারকের নির্দেশ, এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি আগামী ২ জানুয়ারি হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে সেদিনই এই মামলায় দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় নির্দেশ।
একইসঙ্গে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইডির মামলায় (Primary Recruitment Scam) চার্জ গঠন প্রক্রিয়া এদিন আদালতে পিছিয়ে গেলেও কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হবে। সুজয়কৃষ্ণর মেডিক্যাল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! DA নয়, এবার এই ভাতা বাড়ালো সরকার, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে চার্জ গঠনের সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। তবে এদিন সকালে আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে এই কারণে পরপর কয়েকদিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra)। তবে আজ তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার শুনানি পিছিয়ে গেল।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ কালীঘাটের কাকু। জেল হেফাজতে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে এদিন সকালে আচমকাই জ্ঞান হারান তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর আইনজীবী তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান।
কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল আদালতে আবেদন করেন, আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মক্কেলের চিকিৎসা করানো হোক। ওখানেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এর আগে ওখানে তাঁর চিকিৎসাও হয়েছে। ‘কাকু’র আইনজীবীর এই আবেদনে কোনও আপত্তি জানায়নি ইডি। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়, সুজয়কৃষ্ণর সুরক্ষার বিষয়টি দেখতে হবে। এরপর কাকুকে আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ, কলকাতা পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।