বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর নিজে সন্দেশখালীর (Sandeshkhali) মানুষদের ধন্যবাদ জানানোর কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই কথা রাখতেই সোমবার সন্দেশখালিতে হাজির হয়েছিলেন মমতা। নতুন বছর শুরুর আগে সন্দেশখালির মানুষদের জন্য একরাশ উপহারের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মমতা। জেলায় নতুন মহকুমা থেকে সন্দেশের হার সহ একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি ওই সভা থেকেই সন্দেশখালীর মানুষদের বিশেষ করে মা-বোনেদের উদ্দেশ্যে কড়া সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন কোন ‘দুষ্টু লোকের’ খপ্পড়ে পড়বেন না। আর ঠিক তার পরের দিন এই অর্থাৎ আজ মঙ্গলবার ওই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়েই পাল্টা সভা করলেন বঙ্গ বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
‘দুষ্টু লোক’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
এদিন মমতার ‘দুষ্টু লোক’ মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা জবাবে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্দেশখালি থেকে বিজেপিকে নিশানা করেই মমতা বলেছিলেন, ‘আমি জানি এখানে টাকার অংকের খেলা হয়েছে। পরে দেখলেন তো, সবটাই ভাঁওতা, মিথ্যে বেশিদিন চলে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েই শুভেন্দু মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এই রাজ্যে কেউ যদি দুষ্টু লোক হয়ে থাকে তাহলে তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
গতকাল সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে নাম না করেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বিজেপির অনেক টাকা আছে। সেই টাকার জোরেই তারা মানুষকে মিথ্যে বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা আসলে অন্যায়ের টাকা।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পাল্টা জবাবে শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেছেন, ‘বিঘার পর বিঘা জমি দখল, জলকর, শৌচালয়ের টাকা, ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা লুট সবই করেছে তৃণমূলের লোকেরা’। তৃণমূল আমলে মহিলারাই সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: সঞ্জয় একা নয়! তিলোত্তমার খুনি আরও ৫ জন! DNA রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এছাড়াও এদিন নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আইপ্যাকের লোকদের কাজে লাগিয়ে ফাঁসানো হয়েছে এই দ্বীপের সাধাসিধে মানুষদের। তাদের দিয়ে স্টিং অপারেশন করিয়েছে। একের পর এক মিথ্যে বলেছে তাঁরা। আর এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানো, মিথ্যে বলার মতো অভিযাগ আনা হয়েছে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই অনুমতি ছাড়াই সেখানে সভা করেছেন বিজেপি নেতা। যদিও পুলিশের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে নাকি কোন অনুমতি চাওয়া হয়নি। তারা শুধু সভা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাত্র। যদিও এই দাবি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি অনুমতি চাওয়া হয়েছিল তার রিসিভ কপি ও সভাস্থলের এনওসিও তাঁদের কাছে রয়েছে। মিথ্যে বলে সভা আটকানো হয়েছিল। সন্দেশখালি ফেরিঘাট থেকে বিজেপির সভাস্থল পর্যন্ত পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। কোথাও শুভেন্দু অধিকারীকে বাঁধা দেওয়ার খবর আসেনি।