বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই শুরু নতুন বছর। মাঝরাত থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নতুন বছরের উদযাপন। তার আগেই এবার রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক (West Bengal Teachers) ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত দারুণ সুখবর দিল রাজ্যের অর্থ দপ্তর। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্য সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছে যাওয়ার পরেও হবে ‘ইনক্রিমেন্ট’ বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি। অর্থ দপ্তরের অনুমতি পাওয়ার পরেই এই কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
রাজ্যের শিক্ষকদের (West Bengal Teachers) জন্য বছর শেষেই এল সুখবর
এক্ষেত্রে ৬ বারের বেশি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের (West Bengal Teachers) বেতন ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলার পরেও বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে আর কোন বাধা থাকে না। চার বছর আগে ২০২০ সালে আইন করে রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের জন্য আইন করে এই প্রথা তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং সরকার পোষিত সাহায্য প্রার্থী স্কুলের শিক্ষকদের (West Bengal Teachers) কাজ এক হলেও সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। তাই শুধু একটি বিষয় সমাধান করলেই হবে না, এমন আরও অনেক বিষয় রয়েছে সেগুলি সরকারের বিবেচনা করা উচিত। সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে তিনবার। ৮, ১৬ এবং ২৪ বছরে।
সেখানে সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ১০ বছর এবং ২০ বছর দু’টি ক্ষেত্রে এই ধরনের বেতন বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে তাদের জন্য সরকারি কর্মীদের মত সরকারি স্বাস্থ্য বীমা সহ অন্যান্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা থাকে না। এ প্রসঙ্গে পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেছেন, ‘এটি সরকারের ভালো উদ্যোগ। তবে এখনও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক বৈষম্য রয়েছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: জামিন পাবেন চিন্ময়কৃষ্ণ? আইনজীবীর সাথে বৈঠক শেষে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কুণাল
অন্যদিকে শিক্ষক সংগঠনের একাংশের বক্তব্য এই কাজের জন্য সরকারি শিক্ষক ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য আলাদা নতুন নিয়ম চালু করা হলেও তা চালু রয়েছে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তবে সরকারি শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীদের জন্য এই নিয়ম চালু নেই। তাই শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি, এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও পুরোপুরি খুশি হতে পারছেন না।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই নিয়ম কার্যকর হওয়ায় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা এই সুযোগ পাচ্ছিলেন কয়েক বছর আগে থেকেই। কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছিলেন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। অবশেষে বিকাশ ভবনে আবেদন করার পাঁচ বছর পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল। তাই দেরিতে হলেও ভালো খবর আসলেও প্রশ্ন উঠছে, ‘শিক্ষা দফতর সব সময়ই বাকিদের থেকে পিছিয়ে থাকে কেন?’