বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগে মোট ১৩ বার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পিছিয়েছে ডিএ মামলার শুনানি। বর্তমানে সকলের নজর ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারির দিকে। সেই দিন ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। এবারে কি সুরাহা হবে? নাকি ফের…? এই আবহে এবার সুপ্রিম কোর্ট তরফে বড় আপডেট সামনে এল।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে কজলিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার ৪৫ নম্বরে আছে ডিএ মামলা। মামলাটি উঠবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। আদালতের কজলিস্ট অনুযায়ী, চার নম্বর আদালতকক্ষে জাস্টিস রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে একেবারে শেষে রয়েছে বাংলার সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলা।
জানিয়ে রাখি, সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ঠিক কোন সময় ডিএ মামলার শুনানি শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে আছেন হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী। সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আপাতত ৭ জানুয়ারির অপেক্ষা করছেন।
তিনি জানান, সরকারি কর্মীরা মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া ডিএ নিয়ে ইতিবাচক কোনও খবর হয়তো মিলবে না। তাই সকলের নজর শীর্ষ আদালত কি রায় দেয় সেদিকে। এর আগে মলয়বাবু জানিয়েছেন, ‘যদি এবারও মামলা পিছিয়ে যায় তাহলে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে আমরা চিঠি দেব। এর আগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কেও ৩-৪টি চিঠি দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: শীত হবে উধাও! পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় ফের তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে, হবে বৃষ্টিও: আবহাওয়ার খবর
বলেন, ‘ এর আগে মামলার শুনানির দিনগুলিতে বিমানে করে দিল্লি গিয়েছি। তবে এখন অর্থের অভাবের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। আসলে সরকার চাইছে মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করতে। যাতে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের টাকা ফুরিয়ে যায় এবং সকলে মামলা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।’