বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে স্বাস্থ, শিক্ষা সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য দেশ থেকে দারিদ্রতা ঘুচেছে প্রচুর পরিমাণে। সংযুক্ত রাষ্ট্রের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০০৬ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে ভারতে রেকর্ড পরিমাণে দারিদ্রতা ঘুচেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দশ বছরে ভারতের ২৭.১০ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে বেড়িয়ে এসেছে। সংযুক্ত রাষ্ট্র বিকাশ কার্যক্রম আর অক্সফোর্ড প্রভার্টি এন্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ দ্বারা তৈরি করা গ্লোবাল বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (MPI) ২০১৯ বৃহস্পতিবার জারি হয়েছে।
ওই রিপোর্টে ১০১ দেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ নুন্যতম আয়, ৬৮ মধ্যম আয় আর দুটি উচ্চ আয় সম্পন্ন দেশ আছে। এই ১.৩ বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে দারিদ্রতার শিকার ছিলেন। দারিদ্রতার পরিসংখ্যান শুধু আয়ের উপরেই না, বেহাল স্বাস্থ, কম রোজগার আর হিংসার শিকার হওয়া আশঙ্কার উপরে নির্ভর করে করা হয়েছে।
জাতিসংঘের রিপোর্টে দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে যৌথভাবে ১০ টি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এই সমস্ত দেশ উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য প্রগতি করেছে। এই দশ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাব্লিক অফ কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হাইতি, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু আর ভিয়েতনামের নাম আছে। এই সমস্ত দেশ গুলতো উল্লেখনীয় ভাবে দারিদ্রতা কমেছে।
রিপোর্টে বলে হয়েছে যে, এদের মধ্যে সবথেকে বেশি উন্নতি দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা গেছে। ভারতে ২০০৬ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে ২৭.১০ কোটি মানুষ, বাংলাদেশে ২০০৪ থেকে ২০১৪ এর মধ্যে ১.৯০ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ টি নির্বাচিত দেশের মধ্যে ভারত আর কম্বোডিয়ায় MPI সূচক সবথেকে দ্রুত গতিতে নেমেছে। আর এই দুই দেশই সর্বাধিক গরিব মানুষদের দারিদ্রতা থেকে বের করার জন্য সবথেকে বেশি চেষ্টা চালিয়েছে।