বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির ভ্রমণ তালিকায় দীঘা (Digha) বরাবর হট লিস্ট। সমুদ্র সৈকতে কয়েকটা দিন ঘুরে আসতে কোন বাঙালির না ভালো লাগে! গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত, বারো মাসই দীঘায় পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণে সৈকত নগরীর চারদিকে শুধুই চোখে পড়ে কালো মাথা।
দীঘার (Digha) সমুদ্র ঘিরে বাড়ছে চর্চা
দীঘার (Digha) সমুদ্র সৈকত বর্তমানে আরও আকর্ষণীয় পর্যটকদের কাছে। পার্ক, মিউজিয়াম, নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তবে দীঘা সৈকতকে নিয়ে রয়েছে অনেক অজানা ইতিহাস। দীঘায় সমুদ্র স্নানের সময় অনেকেই হয়ত সমুদ্রের মাঝে বিশালাকার কালো রঙের একটি স্থাপত্য দেখতে পান।
তবে কখনো ভেবে দেখেছেন যে সেটি আসলে কী?যারা ওল্ড দীঘা গেছেন তারা কখনো না কখনো অবশ্যই এই জিনিসটিকে চাক্ষুষ করেছেন। জোয়ারের সময় এটি ডুবে যায় সমুদ্রে, আবার এটি ভেসে ওঠে ভাঁটার সময়। দীঘার সমুদ্র সৈকতের কাছে থাকা এই ভগ্নপ্রায় কালো স্তূপ অনেকের কাছেই আকর্ষণের বিষয়।
আরোও পড়ুন : আবার এক নতুন ছক কষছে চীন! “এক্কেবারে বেআইনি কাজ”…..কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিল ভারত
বহু পর্যটক (Tourist) একাধিকবার এটির দর্শন পেলেও, এটির বিষয়ে জানেন না। আসলে একটি ওয়াচ টাওয়ারের বর্তমান ভগ্ন রূপ এই স্তূপটি। একটা সময়ে এই ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে আবহাওয়ার নজরদারি চালানো হত। জানা যায়, ওয়ারেন হেস্টিংসের সময়কালে তৈরি করা হয়েছিল এই ওয়াচ টাওয়ার।
এই ভগ্ন ওয়াচ টাওয়ার এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে সৈকতের বুকে। এখনো জোয়ারের সময় ডুবে যায় ওয়াচ টাওয়ারের (Watch Tower) অংশটি, আবার সেটি ভেসে ওঠে ভাঁটার সময়। এবার দীঘা (Digha) গেলে অবশ্যই কিন্তু আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করবেন এই অজানা ইতিহাস।