বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝুলছে ২৬০০০ মানুষের ভাগ্য। আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে (SSC Recruitment Scam)। রাজ্য কি পৃথক করতে পারবে অযোগ্যদের? নাকি সবারই কপাল পুড়বে? আপাতত সুপ্রিম শুনানির দিকে তাকিয়ে সকলে। এরই মাঝে বড় আপডেট সামনে এল।
৭ জানুয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে প্রথমেই। জানা গিয়েছে মামলাটি ১ নম্বর সিরিয়ালে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সকাল ১০.৩০ নাগাদ মামলাটির শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসে। এবার হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে পুরো প্যানেলই বাতিল হবে, না খোঁজ মিলবে অযোগ্যদের?
এর আগে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “নম্বর কারচুপি হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে।” রাজ্যের আইনজীবীর কাছে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করতে রাজ্যের সম্মতি রয়েছে কি? রাজ্যের আইনজীবী সমর্থন জানিয়ে বলেন, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য দিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, নিয়োগ তালিকায় থাকা যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করা সম্ভব কি?
কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “হাই কোর্ট কেন বলল (যোগ্য-অযোগ্য) আলাদা করা সম্ভব নয়? আমাকে বোঝান।” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সাফ বলেন, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল বাতিল করতে হবে।” যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করতে গেলে মেটা ডেটা খুঁজে বের করার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
চিফ জাস্টিস বলেন, “মেটা ডেটা খুঁজে বের করা না গেলে যোগ্য এবং অযোগ্য তালিকা বাছাই করতে পারব না।” ‘কমিশন মিরর ইমেজ রাখেনি। আসল কপি নেই। স্ক্যান কপি রয়েছে। যার সঙ্গে এসএসসির বসানো নম্বরের মিল নেই। পাশাপাশি স্ক্যানিং-এ অনিয়ম করা হয়েছে।” মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: থমকে উত্তুরে হাওয়া! কাল থেকে ফের বৃষ্টি একাধিক জেলায়, আজকের আবহাওয়া
প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “অযোগ্যদের খুঁজে বার না-করে সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করলেন কেন আপনারা? অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হবে না এই বিষয়টি আপনারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।” উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।
আরও পড়ুন: মাত্র ১ ঘন্টা! স্যাট করে পৌঁছে যাবেন ভুটানে! কবে থেকে ছুটবে ট্রেন? জানাল রেল
হাইকোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। সকলকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের (ssc recruitment scam) চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও।