বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফুচকা (Fuchka) খেতে সকলেই ভালোবাসেন। বাঙালি থেকে অবাঙালি সকলেরই পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই খাবারটি। আর ফুচকা বিক্রেতাদেরও ফুচকা বিক্রি করে ভালোই আয় হয়। বছর শেষে হয়তো তিন থেকে চার লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন তারা, এটাই ভাবেন সকলে। কিন্তু যদি বলি আপনার ভাবনা ভুল। কারণ পাড়ার মোড়ে এক ফুচকা বিক্রেতা ফুচকা বিক্রি করেই হয়েছেন লাখপতি। তাঁর বার্ষিক আয় ৪০ লক্ষ টাকা। আর একথা কানে যেতে নড়ে চড়ে বসেছে GST দপ্তর। শুনতে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? তবে অবাক হলেও এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
ফুচকা (Fuchka) বিক্রি করে আয় ৪০ লক্ষ টাকা:
আসলে বর্তমান সময়ে অনলাইন লেনদেনের বেশ চল শুরু হয়েছে। মাছের দোকান থেকে শুরু করে, কাপড়ের দোকান সব জায়গায় অনলাইন পেমেন্টের জন্য কিউআর কোড লাগানো থাকে। আর এই কাজ করা থেকে বাদ যাচ্ছে না ফুচকাওয়ালারা। ১০, ২০, ১০০ যত টাকার ফুচকা (Fuchka) খান না কেন অনলাইনে পেমেন্ট করে দিচ্ছেন। তামিলনাড়ুর এক ফুচকা বিক্রেতাও অনলাইনে পেমেন্টের ব্যবস্থা রেখেছিলেন নিজের দোকানে। আর সেই অনলাইনের খতিয়ান চেক করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ।
জানা গিয়েছে, ওই ফুচকা (Fuchka) বিক্রেতার অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৪০ লক্ষ টাকা। আর এই খতিয়ানটি ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের আয়। শুধু অনলাইনেই আয় করেছেন ৪০ লক্ষ ১১ হাজার ১৯ টাকা। জানা গিয়েছে, ফোনপে, রেজরপে-র মতো বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমে এত টাকা পেয়েছেন তিনি। আর এই বিষয়টি তামিলনাড়ু সরকারের চোখে পড়তেই GST নোটিস পাঠিয়েছেন বিক্রেতাকে।
আরও পড়ুনঃ কনফার্ম খবর, অশান্ত বাংলাদেশে এবার বাজবে ভোটের বাদ্যি! রাখঢাক না রেখে কি জানালেন ইউনূস?
GST-র নোটিস কেন পাঠানো হলো ফুচকা বিক্রেতাকে: আসলে নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যবসায়ীর বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকার বেশি হলে, তার GST রেজিস্ট্রেশন করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু তামিলনাড়ুর এই ফুচকা (Fuchka) বিক্রেতার আয় ৪০ লক্ষ টাকা হওয়ার পরও GST-র রেজিস্ট্রেশন নেই। এরফলে কোন রকমের শুল্কও তাকে দিতে হয় না। কিন্তু বিষয়টি সরকারের নজরে আসার পর ফুচকা বিক্রেতাকে এই বিষয় সতর্ক করা হয়েছে। সেই সাথে GST নথিভুক্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ১০টা থেকে ৬টা…! মা উড়ালপুল নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! সমস্যায় পড়ার আগেই জানুন
তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু ফুচকা (Fuchka) বিক্রেতার মত এমন অনেক ছোটখাটো ব্যবসায়ী রয়েছে যাদের বার্ষিক আয় ২০ লাখের বেশি। কিন্তু তারা নগদ অর্থ লেনদেন করায় এই বিষয়টি সহজে সরকারের চোখে পড়ে না। এর ফলে ফাঁকি দিয়ে করের হাত রেহাই পাচ্ছেন তারা। কিন্তু এটা আইনত অপরাধ।