বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ নিয়ে চলছে আন্দোলন। আদালতে চলছে মামলা। তবে বহু কাঠ-খড় পোড়ানোর পরও হাতে আসেনি কাঙ্খিত মহার্ঘ ভাতা। বাংলার সরকারি কর্মীদের দাবিতে মান্যতা দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। যা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মনে।এরই মাঝে এবার রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠাতে শুরু করল কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।
জানা যাচ্ছে, কোন দফতরে কর্মীর সংখ্যা কত, তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মমতার হাতে থাকা কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে। সচিবালয়গুলিতে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসার পদে মোট অনুমোদিত পদ ও বর্তমান কর্মরত কর্মীর বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি গিয়েছে।
কোনো কিছু উল্লেখ করা না হলেও নয়া বছরের শুরুতেই রাজ্যের এই পদক্ষেপে নতুন করে নিয়োগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমন একটা সময় দফতরে দফতরে চিঠি দিতে শুরু করল রাজ্য যখন ডিএ ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। এখানে উল্লেখ্য, বিগত কিছু সময়ে রাজ্যের একাধিকবার নিয়োগে কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানিয়ে এসেছেন সরকারি কর্মীরা। ওদিকে ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ‘যুদ্ধ’ জারি রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে চলছে মামলা।
আরও পড়ুন: মারধর করেছে বাংলাদেশ! রাজ্যে ফেরত মৎসজীবীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ঘোষণা মমতার
আরও পড়ুন: ডবল ধামাকা! DA বৃদ্ধির পাশাপাশি এবার মিলবে ৩% ইনক্রিমেন্ট! বড় ঘোষণা এই রাজ্য সরকারের
সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ওদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত ডিএ-র পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ শতাংশে।