বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ধৃত হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das) শুনানি হলেও জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রধান মুখ হয়ে ওঠার কারণেই ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে হবে না সাক্ষাৎ
একাংশের অভিযোগ, পদ্মাপাড়ের নতুন সরকার চাইছে চিন্ময়কৃষ্ণকে জেলেই বন্দি করে রাখতে। জামায়াতের মতো বেশ কিছু কট্টরপন্থী দলের বিরুদ্ধে এহেন ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন নীতি’ গ্রহণ করে চলারও অভিযোগ উঠছে। এমনকি ভারতের (India) পক্ষ থেকে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনি অধিকার সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যদিও তারপরেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ছবি উঠে আসছে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে। ‘ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস’ নামক একটি সংগঠন এবার অভিযোগ তুলল জেলে (Jail) বন্দি চিনময়কৃষ্ণ দাসের সাথে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়ার। সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ৭ জন সন্ন্যাসীর একটি দল রবিবার চট্টগ্রাম কারাগারে যায় চিন্ময়কৃষ্ণের সাথে দেখা করার জন্য।
আরোও পড়ুন : নমোর সঙ্গে নাদেলার সাক্ষাৎ! নতুন বছরেই নয়া বিনিয়োগ ভারতে? Microsoft-এর CEO যা বললেন….
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখার পরেও সন্ন্যাসীদের (Monk) সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি চিন্ময়কৃষ্ণকে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘চট্টগ্রামের জেলে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে খুনের ষড়যন্ত্র চলছে। পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি থাকলেও চিন্ময়কে সতীর্থ সাধুদের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছেন না জেল সুপার। জেলে নিশ্চিত তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ কিছু ঘটছে।’
তারপর আরো একটি পোস্টে লেখা হয়,‘কেন কাউকে জেলবন্দি সন্ন্যাসীর সঙ্গে সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না?’ প্রসঙ্গত, চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে গত ২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল সওয়াল করেন চট্টগ্রাম আদালতে মামলার শুনানিতে। অপূর্বকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১১ জন আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে যান চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়াল করতে।
আরোও পড়ুন : ১০০০ নয়! এবার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ৯০০০ টাকা! নূন্যতম পেনশন নিয়ে নয়া আপডেট
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর হয়ে সওয়াল করলে অনেক আইনজীবীকেই হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই অনেকেই ভয়ে আইনি লড়াই করার সাহস দেখাতে পারছেন না। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। ফলে গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করেই দুই দেশেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।