বাংলা হান্ট ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। একই সাথে পদত্যাগ করেছেন লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের পদ থেকেও। দলের অন্দরে অন্তর্বিরোধের জেরে আজ এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি। তবে পদত্যাগের পর থেকে জল্পনা উঠেছে ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হবেন? তবে ট্রুডো জানিয়েছেন এখনই তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন না। আগামী উত্তরসূরির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই তিনি অব্যাহতি নেবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার দৌড়ে এগিয়ে কে? ইতিমধ্যে এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটাছেঁড়া।
কে হবেন কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
চলতি বছরেই কানাডায় (Canada) নির্বাচন রয়েছে। জানা যাচ্ছে লিবারেল পার্টির নয়া নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচনের লড়াই নামানো হতে পারে। উল্টোদিকে শোনা যাচ্ছে, এই নির্বাচনে মসনদ হাতছাড়া হতে পারে ট্রুডোর দলের। ফলে আদৌ লিবারেল পার্টির কোন সদস্য মসনদে প্রবেশ করবে কিনা সেটা এখন প্রশ্নের মুখে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি নাম। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, নাম অনিতা আনন্দ। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত: জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ট্রুডো সরকারের একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে সামলেছেন। পরিবহন মন্ত্রকের পাশাপাশি পাবলিক সার্ভিস, প্রতিরক্ষা এবং ট্রেজারি বোর্ডের দায়িত্ব তাঁর উপর ছিল। তিনি কানাডার বাসিন্দা হলেও জন্মগতভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন কন্যা। বাবা তামিল এবং মা পাঞ্জাবি হওয়ায় ছোট থেকেই ভারতের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা। জানা যায় তিনি পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রানসহ বিভিন্ন সাহায্যের জন্য তাঁর ভূমিকা অন্যতম। আর এবার কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনের লড়াইয়ে বছর ৫৩-র অনিতা আনন্দ।
আরও পড়ুনঃ এই প্রকল্পের টাকা পাঠানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
আপাতত ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসাবে দলের নজর নাকি তাঁর দিকেই। তার উপর ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চার পারদ একটু বেশি। এছাড়াও এই লড়াইয়ে রয়েছেন মিলানি জোলি। ২০২১ সালে বিদেশ মন্ত্রী পদে বসার আগে ট্রুডো সরকারের তিন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। ৪৫ বছরের মিলানি জোলিও অক্সফোর্ডের ছাত্রী। এই তালিকায় রয়েছেন, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। ট্রুডোর অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি পরিচিত। একসময় সামলেছেন উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ। সম্প্রতি তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ৫৬ বছর বয়সী এই মহিলা রাজনৈতিক জগতে পা দেওয়ার আগে ছিলেন একজন সাংবাদিক। এছাড়াও দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ফোনের নেশায় বুঁদ? কেটে যাবে মাত্র ৬ মিনিটেই, শুধু ফেরাতে হবে এই পুরনো অভ্যাস
লড়াইয়ের তালিকা আরও বড়: অনিতা, ফ্রিল্যান্ডই নন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় রয়েছেন মার্ক কার্নি। ব্যাঙ্ক অফ কানাডার প্রাক্তন গভর্নর হার্ভার্ডের প্রাক্তনী। সামলেছেন ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট পদ। এছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে ফ্র্যাঙ্কোইস ফিলিস শ্যাম্পাঞ্জ। বছর ৫৪-র রাজনীতিবিদ ছিলেন বিদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন কানাডার বিজ্ঞান, উদ্ভাবন এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্বে। এখন দেখার পালা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আদৌ অনিতা জায়গা করে নিতে পারেন কিনা, নাকি টক্কর দেবেন অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা।