বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এখনও খরা কাটেনি। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা (Dearness Allowance) চলছে। কার্যত ঝুলে রয়েছে। প্রায় ছয় মাস পর গত ৭ জানুয়ারি ডিএ মামলার (DA Case) সুপ্রিম শুনানি নিয়ে বহু স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। তবে সব আশায় জল। আগামী ২৫ মার্চ ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এরই মধ্যে এবার বড়ো আপডেট দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন মলয়বাবু। তাতে একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, ‘আমাদের সম্প্রতি করা একটি পোস্টে অনেকেই সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি থেকে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষন করার কথা শোনাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন যে, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ডিএ মামলাটির ব্যাপারে আলোকপাত করা হোক। সেইপ্রেক্ষিত আমরা বলছি তা আমরা করেছি! আমাদের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি সংগঠনও একসাথে বিগত প্রধাণ বিচারপতিকে মেল করে তা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে জানান হয়েছে, তিনি সেই চিঠি সি. এস কে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছেন। এইসব চিঠি পাবলিক ডোমেনে প্রকাশ করাটা অনুচিত বলে তা প্রকাশ্যে আনিনি।। তবে কেউ দেখতে চাইলে দেখাতেও পারি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রেক্ষিত বলি একজন সরকারি কর্মী তিনি নিজে উদ্দ্যোগে দুই প্রধাণ বিচারপতিকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তিনি তা আমাদের পোস্টে এক প্রশ্নকারি কর্মীকে তিনি তার অভিজ্ঞতা আমার সম্প্রতি করা পোস্টে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নাম শ্রী বিশ্বজিৎ মুখার্জী। তিনি শংঙ্কর মুখার্জীর প্রশ্নের উত্তরে কি জানিয়েন তা নিন্মে দেখুন: Shankar Chakraborti D Y CHANDRACHUR, CJI এবং SRI SANJIV KHANNA,CJI এর কাছে আমি EMAIL ও SPEED POST করে অভিযোগ করেছি, প্রথম টা Supreme Court খারিজ করে দিয়েছে।’
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, ‘দ্বিতীয় জন কোন response করেন নি। তারপরও List এর শেষে মামলাটা ইচ্ছা করে রেখেছে, যাতে Hearing না হয়। আমাদের লড়তে হচ্ছে Court এর সঙ্গে, সরকার বা opposite party এর Advocate এর সঙ্গে নয়। এমনভাবে Listing করছে যাতে Hearing না হয়, সময়ের অভাবে। হাজার হাজার, কর্মচারী যদি President of India ও Prime Minister এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলেই কিছুটা আশা করা যায়।’
আরও পড়ুন: সলমনের নায়িকা সারা সেনগুপ্ত! বলিউডে কেরিয়ার শুরু করছেন যিশু-নীলাঞ্জনার কন্যা
মলয়বাবুর অনুরোধ, ‘তথাপি আমরা বলছি এই মামলা (Dearness Allowance) শুধু আমাদের সংগঠনের নয় সামগ্রিক কর্মচারি সমাজের, তাই আপনাদেরকেও বলছি, কিছু হোক বা না হোক, তথাপি আপনারা মেল মারফত মামলাটি শোনার জন্য প্রধাণ বিচারপতিকে অনুরোধ জানাতেই পারেন। তাতে কোনও আইনি বাঁধা নেই। তবে প্রধাণ মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে এই ব্যাপারে চিঠি দিলে, তাঁরা সর্বোচ্চ আদালতে কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না। তাঁরা সেই চিঠি এই রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।’